গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাত পোহালেই বৃহস্পতিবার উঠছে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’র পর্দা। বাংলাদেশের সাহিত্য ও বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটাতে গত কয়েক দশক ধরে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিনটিতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই বইমেলা। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও শুরু হতে যাচ্ছে অমর ‘একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৮’।
মেলার পরিসর বাড়ার কারণে প্রতিবছরের মতো এ বছরও মেলার মূল আয়োজন থাকবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, বাংলা একাডেমি চত্বরেও থাকবে বেশকিছু সংস্থা ও প্রকাশনার স্টল।
জানা গেছে, গত বছরের মতো এবারও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকছে মেলার মূল আয়োজন। গত তিন বছরের ধারাবাহিকতায় এবার মেলার পরিসর আরও বেড়েছে। ২০১৫ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার পরিসর ছিল দুই লাখ বর্গফুট, ২০১৬ সালে ছিল তিন লাখ বর্গফুট, ২০১৭ সালে ছিল সাড়ে ৪ লাখ বর্গফুট। এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ বর্গফুট। আগের বইমেলাগুলোতে নিয়মিত বরাদ্দ পাওয়া প্রকাশনা সংস্থা ছাড়াও এবার শতাধিক প্রকাশক স্টলের আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ১৫টি নতুন সংস্থাকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মেলা কমিটি।
মেলা কমিটির তথ্য অনুযায়ী, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোট ৪৫৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭১৯টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৩৬টি ইউনিট এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৮৩টি ইউনিটের স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর বাংলা একাডেমিসহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মোট ১৫ হাজার ৫৩৬ বর্গফুট আয়তনের ২৫টি প্যাভিলিয়ন। এর বাইরে লিটল ম্যাগাজিন কর্নারে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৩৬টি লিটল ম্যাগাজিনকে।
‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’র পাশাপাশি ২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি আয়োজন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন। এতে বাংলাদেশসহ আটটি দেশের ১৫ জন কবি-লেখক-বুদ্ধিজীবী অংশ নেবেন।
মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকছে প্রকাশকদের স্টল। তাই সেদিকেই বেশি নজর দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সব স্টল যেন সমান গুরুত্ব পায়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে বিশেষভাবে। মেলা কমিটি আগেই জানিয়েছে, আগে মেলা রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও এবার মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বইমেলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা ছাড়াও মাঠে থাকবেন আনসার, ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা। মেলায় কোনও ধরনের ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না দর্শনার্থীরা। এ ছাড়া এবার যেকোনও নতুন বইমেলায় এলে বাংলা একাডেমি তা যাচাই-বাছাই করে দেখবে বলেও গত মঙ্গলবার দুপুরে মেলা পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।