Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘সউদী থেকে রেমিট্যান্স আসার হার নিম্নমুখী’

| প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সউদী আরব থেকে প্রতিবছর গড়ে দুই হাজার ৯২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসছে। তবে বিগত দুই অর্থবছরে এই রেমিট্যান্স আসার হার নিম্নমুখী হয়েছে। জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির দেয়া তথ্য বিশ্লেষণে এ খবর মিলেছে।
গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বরাত দিয়ে সংসদে মন্ত্রী জানান, সউদী থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে তিন হাজার ১১৮ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩ হাজার ৩৪৫ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুই হাজার ৯৫৫ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দুই হাজার ৬৬৭ দশমিক ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এক হাজার ২০২ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী জানান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ছাড়পত্র নিয়ে সউদী আরবেই সর্বাধিক ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৭১ কর্মি গিয়েছে। এর মধ্যে গত বছর গিয়েছে পাঁচ লাখ ৫১ হাজার ৩০৮ জন। এছাড়া বর্তমানে বিশে^র ১৬৫ দেশে এক কোটি ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯৪৩ জন বাংলাদেশি কর্মী রয়েছে। তিনি আরো জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে তারা দেশে ৬ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল পাঁচ দশমিক দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বর্তমান সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে ২০১৭ সালে রেকর্ড সংখ্যক ১০ লাখ আট হাজার ৫২৫ জন কর্মী বিদেশে গিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অদক্ষ কর্মীর তুলনায় দক্ষ কর্মীর অভিবাসন ব্যয় কম, চাহিদা ও বেতন বেশি। তাই বর্তমান সরকার দক্ষ কর্মী তৈরির ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছে। অধিক হারে জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে সারা দেশের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩৮ থেকে বাড়িয়ে ৭০টি করা হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রতারণার দায়ে বিগত আট বছরে ১৩১টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ২০১০ সালে ২৬, ২০১১ সালে ২২, ২০১২ সালে ১৬, ২০১৩ সালে ১৭, ২০১৪ সালে ১৩, ২০১৫ সালে ১২, ২০১৬ সালে ১১ এবং ২০১৭ সালে ১৪টি এজেন্সি বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এগুলোর লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে বহু এজেন্সির জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে যে সব কর্মী দেশে ফেরত আসছে সে সব কর্মীদের পুনর্বাসন করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের অর্থায়নে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। সেখান থেকে দেশে ফেরত আসা দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকদের ১১ শতাংশ সুদে পুনর্বাসন ঋণ দেয়া হচ্ছে। চাহিদা না থাকায় বর্তমানে মালয়শিয়ায় সরকারিভাবে কোনো কর্মি প্রেরণ করা হচ্ছে না বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সউদী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ