পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাবি সংবাদদাতা : ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যর্থ প্রমাণের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই গত ২৩ জানুয়ারী ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে ভিসির কার্যালয়ে হামলা করা হয়েছে এমনটাই মন্তব্য করেছেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। গতকাল রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শিক্ষক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত এক মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনে ভিসির সাথে অশোভন আচরণ, ভিসি ও প্রক্টরের কার্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন করা হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক মো. সামাদ, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, অধ্যাপক ড. সাবিতা রেজওয়ানা রহমান, অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমান, অধ্যাপক জিনাত হুদা, অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান মিয়াজী, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন প্রমুখ।
ভিসি অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনায় কেন পুলিশের সাহায্য নেয়া হলোনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের কালচার হলো পুলিশ আসলে তখন শ্লোগান দিবে ‘ক্যাম্পাসে পুলিশ কেনো, প্রশাসন জবাব দাও’। এই জন্য শিক্ষক ছাত্র মিলে আমরা সমাধান করেছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বহিরাগতদের চিহ্নিত করে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে বলেও জানান শিক্ষক সমিতির সভাপতি।
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, দাবি থাকলে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু বেপরোয়া যে মনোভাব, তাতে ধারনা করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যার্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে ভেতর থেকে। যে কোনো ষড়যন্ত্র ঘরের ভেতরে ও হতে পারে, ঘরের বাহিরে থেকেও হতে পারে। ঘরের অনেক ছাত্র সংগঠন আছে আবার এদের এর মদদপুষ্ট শিক্ষক ও রয়েছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রকে রাজনৈতিক ফায়দার অংশ মনে করি। আমরা এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দিবো না।
অধ্যাপক কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, তাদের বলেছিলাম, তোমাদের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনা করবে কিন্তু ছাত্রদের মধ্য থেকে কোন প্রতিনিধি আসেনি। তাদের দাবি ছিল ভিসিকে তাদের সামনে এসে এই ব্যপারে ঘোষণা দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি নিয়মনীতি রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে চলতে হয়।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ১৫ জানুয়ারি নিপীড়নের যে অভিযোগ এসেছে সেটির ভিডিও ফুটেজ আমরা দেখেছি। যদি এমন হয়ে থাকে সেটিরও আমরা প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু সে ঘটনার বিচার করতে হলে তদন্ত কমিটিকে অভিযোগকারীদের সহযোগিতা করতে হবে। কিন্তু আমরা এখনও পর্যন্ত সে ধরনের কোন সহযোগিতা পাচ্ছি না। তিনি বলেন, ওইদিনের আন্দোলন এবং ঘেরাওটি ছিল ভিন্নভাবে। ছাত্র সুলভ আচরণ নয়।
অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, আমি তদন্ত কমিটির প্রধান অথচ এখনো তারা কেউ আমার কাছে এসে নিপীড়নের কোন তথ্য প্রমাণ দেয়নি। অথচ তারা মিডিয়ার কাছে বলে বেড়াচ্ছে এদের শাস্তি দাও এরা অপরাধী। প্রশাসন কখনোই নারীদের উপর নিপীড়নের ঘটনায় ছাড় দেবেনা। কিন্তু তা তো সঠিক ভাবে বিচার চাইতে হবে।
অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমান বলেন, আন্দোলনের সঙ্গে তাদের কথার সাথে কাজের মিল নেই। তারা ধ্বংসাত্মক আন্দোলন করেছে। গণতান্ত্রিকভাবে দাবি দাওয়া আদায় করা যায়। ছাত্রদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করা হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করা।
সাবিতা রেজওয়ানা রহমান বলেন, ছাত্রদের নাম দিয়ে অছাত্রদের দিয়ে এগুলো করার সুযোগ দেয়া হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।