পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের প্রধান বিচারপতিকে ইমপিচ বা সংসদীয় পদ্ধতিতে বিচার করা যায় কি না, তা নিয়ে কয়েকটি বিরোধী দল চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। সিপিআইএম দল এ নিয়ে কয়েকটি বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। তবে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এখনও বিষয়টি নিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। এর আগে দেশের প্রধান বিচারপতিকে যেমন কখনও অপসরণের কথা কেউ চিন্তাও করেনি, তেমনই অন্য কোনও বিচারপতিকে ইমপিচও করা হয়নি। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের চারজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সপ্তাহ দুয়েক আগে যেদিন সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান বিচারপতির কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সেটা যেমন ছিল একটা অভূতপূর্ব ঘটনা, তেমনই যদি প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অপসারণের প্রস্তাব আনা হয়, সেটিও হবে আরেকটি অভূতপূর্ব ঘটনা।
যদিও এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে ভারতের কয়েকটি বিরোধী দল নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা শুরু করেছে যে, প্রধান বিচারপতিকে ইমপিচ করা যায় কি না। এ নিয়ে মূলত উদ্যোগ নিয়েছে সিপিআইএম।
কেন প্রধান বিচারপতিকে ইমপিচ করার উদ্যোগ নিচ্ছেন তারা, জানতে চাইলে সিপিআইএম-এর পলিটব্যুরো সদস্য মুহম্মদ সেলিম বলেন, ‘যখন বরিষ্ঠতম চার বিচারপতি সংবাদ সম্মেলন করে বললেন যে, বেঞ্চ গঠন করা নিয়ে একদেশদর্শীতা হচ্ছে, তখনও আমরা চাইনি বিষয়টা নিয়ে বেশি বিতর্ক হোক। কারণ বিচারালয়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করা যায় না’।
‘কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই তো প্রশ্ন উঠেছে, কোনও ব্যক্তির ব্যাপার নয় এটা। অনেক পূতিগন্ধ বেরোচ্ছে এখান থেকে যেটা দূর করার দরকার আছে দেশের স্বার্থে এবং ন্যায়ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে,’ -বলছিলেন মুহম্মদ সেলিম।
জনাব সেলিম একথাও বলছিলেন যে, ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব আনা হবেই, এমন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনও আসেনি। তারা বিভিন্ন দলের সঙ্গে এখনও আলাপ আলোচনা চালাচ্ছে।
প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস, বা সংখ্যার দিক থেকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দল তৃণমূল কংগ্রেস এখনও এ নিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। কিন্তু সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়েছেন যে, আলোচনা ফলপ্রসূ হলে আসন্ন বাজেট অধিবেশনেই ওই প্রস্তাব আনা যেতে পারে।
ভারতের কোনও বিচারককে অপসারণ করার বিষয়টি বেশ জটিল। বলছিলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলি।
তিনি বলেন, ‘ইমপিচমেন্টের জন্য সবার আগে যেটা দরকার তা হল প্রস্তাবের পক্ষে সংসদ সদস্যদের স্বাক্ষর। সেটা স্পীকারের কাছে জমা পড়বে। তিনি সেই প্রস্তাব পাঠাবেন একটা কমিটির কাছে। এই কমিটিতে কারা থাকবেন, সেটা ঠিক করার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির একটা ভূমিকা থাকে’।
‘কিন্তু এখানে যেহেতু তার বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনার কথা বলা হচ্ছে, তাই সেটা কী পদ্ধতিতে হবে, সেটা বলা কঠিন। আগে তো কখনও প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আসেনি।
তিনি আরও জানান, ‘ওই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে স্পিকারের অনুমতি সাপেক্ষে সংসদের উভয় কক্ষে আলোচনা হবে, ভোট নেওয়া হবে। ভোটে প্রস্তাব পাশ হলে তবেই সেটা প্রেসিডেন্টের কাছে যাবে, যিনি সংশ্লিষ্ট বিচারপতিকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেবেন’।
তবে মি. গাঙ্গুলি অবশ্য এ-ও বলছিলেন যে, কারণে প্রধান বিচারপতির অপসরণের কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে, তা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে তিনি নিজেও সন্দিহান।
‘তিনি যখন আইনজীবী ছিলেন, সেই সময়ের একটা সরকারি জমি নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তবে এটাও আবার সংবাদমাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে, তিনি নাকি ওই জমিটা শেষপর্যন্ত পাননি। আর দ্বিতীয় যে কারণটা বলা হচ্ছে, তার প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ে চারজন বিচারপতি চীফ জাস্টিসের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই কারণে ইমপিচ করা কঠিন বলেই আমার ব্যক্তিগত মতামত’।
এর আগে দুজন বিচারপতিকে পদ থেকে অপসারণ করার পদ্ধতি শুরু হলেও কাউকেই শেষ পর্যন্ত ইমপিচ করতে হয়নি।
একজনের ক্ষেত্রে ওই প্রস্তাবটি পরাজিত হয়, আর অন্যজন, কলকাতা হাইকোর্টের এক তৎকালীন বিচারপতির ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব নিয়ে ভোটের আগেই নিজেই পদত্যাগ করেন। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।