পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় রায় ‘বিচার হবে প্রধানমন্ত্রী যা চাইবেন তাই’ এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার রায় আগে থেকে তাদের মহাসচিব জানলেন কিভাবে এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেট খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এ প্রতিক্রিয়া দেন ওবায়দুল কাদের। প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ ২০১৮ এর সমাপনী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার প্রশ্ন, এই মামলায় আদালত বেগম জিয়াকে সাজা দিবেন এরকম নিশ্চয়তা তাকে (মির্জা ফখরুল) কে দিল? এবং সেটা তিনি আগেভাগে কি করে জানলেন? আদালত নির্দোষ করতে পারে আবার সাজাও দিতে পারে। এখানে সরকারের কোন হস্তক্ষেপ নেই। সরকার এই পর্যন্ত বিচার বিভাগে কোন হস্তক্ষেপ করেনি।
কাদের বলেন, সুপ্রিমকোর্ট ষোড়শ সংশোধনীর রায় কি দিয়েছে এটা সবাই জানে। এটা কি সরকারের পক্ষে? আর এখন এই মামলাটা বারবার মির্জা ফখরুল বলার চেষ্টা করছেন যেন শেখ হাসিনা এই মামলাটা করে বেগম জিয়াকে হেনস্তা করছে। তাদের রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। এটা একটা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিএনপি। তিনি বলেন, এই মামলাটি কখন ফাইল হয়েছে। দুদকের মামলা তখন ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দীনের সরকার। মামলা তো এই সরকার দেয়নি। মামলা দিয়েছে বেগম জিয়া যাদেরকে বসিয়েছিলেন, ফখরুদ্দিন সাহেব ও তাদের সৃষ্টি মইনুদ্দিন সাহেব। এরাও তাদের সৃষ্টি এবং তত্ত¡াবধায়ক সরকার যখন চলছিল্ তখন এই মামলা দুদক করে। এখন দুদকের মামলা সরকার কিভাবে হস্তক্ষেপ করে? বেগম জিয়া নির্দোষ হলে আমাদের তো কোন অসুবিধা নেই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আর তিনি সাজা পেলে আমরা কিভাবে রক্ষা করবো। শেখ হাসিনা সরকারের এখানে কি। তাহলে কি আদালত রায় দিতে পারবে না? আদালত এদেশে বিচার করতে পারবে না।
‘সরকার বেগম জিয়াকে ভয় পায়। ভয় পায় বলেই তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়’, মির্জা ফখরুলের এ বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আদালতে বিচারের বিরুদ্ধে তারা বিক্ষোভ করবেন? বেগম জিয়াকে আমরা ভয় পাই না। আমরা ভয় পাই ২০১৩, ১৪ সালের পেট্রোল বোমাকে। ভয় পায় দেশের মানুষ। তখন দেশে মানুষ তার (খালেদা জিয়া) নির্দেশে কত যে মানুষের প্রাণের প্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছে। রাস্তার হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলেছে? গাছ কি আওয়ামী লীগ করে। বিদ্যুত কেন্দ্র জালিয়ে দিয়েছে। রাস্তা কেটে ফেলেছে। বেগম জিয়ার এই রাজনীতিকে আমরা ভয় পাই। তাদের নেতিবাচক রাজনীতিকে আমরা ভয় পাই। বেগম জিয়াকে আমরা ভয় পাই না।
তিনি বলেন, মনে নেই চট্টগ্রামের একজনকে কিভাবে নির্দেশ দিয়েছে সন্ত্রাস করার জন্য, পেট্রোল নিক্ষেপের জন্য। আমরা এটাকে ভয় পাই। বেগম জিয়াকে আমরা ভয় পাই না। তিনি ইতিবাচক রাজনীত করলে আমরা কেন বাধা দিব।
আবার রাস্তায় নেমে আগুন সন্ত্রাস করলে প্রতিহত করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন হবে, বিএনপি অংশ নিবে, প্রতিদ্ব›িদ্বতা বিহীন নির্বাচন অমরা চাই না। বিএনপি আসুক, তারা একটা বড় দল, আমরা এটা প্রতিদ্ব›িদ্বতা পূর্ণ ফ্রি এন্ড ফেয়ার নির্বাচন চাই। তারা তখন আগুন তান্ডব চালিয়ে একটা নির্বাচনকে ভয়কট করতে গিয়ে কি চালিয়েছিল? তখন কতগুলো স্কুল জালিয়ে দিয়েছিল বলুন্। এই নারকীয় তান্ডবকে আমরা ভয় পাই, বেগম জিয়াকে নয়। এখন আদালতের রায় মন মতো না হলে আবারো তারা সেই সন্ত্রাস শুরু করবেন কি না? সেটা যদি করে আমি বলতে চাই বাংলাদেশের সচেতন জনগণ এবার প্রতিহত করবে, প্রতিরোধ করবে।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. সামসুদুল হাছান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মৎস ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, আওয়ামী রীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, মৎস ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর শওকত আলী বাদশা।
বিএনপি হলো বাংলাদেশ নালিশ পার্টি
নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানোর সুযোগ নেই : ওবায়দুল কাদের
পার্লামেন্টে বিএনপি’র প্রতিনিধিত্ব নেই। নির্বাচনকালিন সহায়ক সরকারে তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানোর তাই সুযোগ নেই। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কুড়িগ্রাম-রাজারহাট-তিস্তা জেলা মহাসড়কের কাজের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কুড়িগ্রাম-রাজারহাট-তিস্তা মহাসড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস ছাত্রলীগ নয়, বিএনপির ক্ষমতার উৎস ছিল ছাত্রদল। এছাড়াও তিনি ছাত্রলীগ সম্পর্কে আরো বলেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী তিন মাসের মধ্যে ছাত্রলীগকে ঢেলে সাজানো হবে। পরে মন্ত্রী কুড়িগ্রাম স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভে জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় যোগ দেন।
এসময় তার সাথে সফর সঙ্গী ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মো. জাফর আলী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এ্যাডভোকেট এস এম আব্রাহাম লিংকন, শেখ বাবুল, সাবেক এমপি আহমেদ নাজনিন সুলতানা নাজলী, সাবেক এমপি জাকির হোসেন, বীর বিক্রম শওকত আলী,জিল্লুর রহমান টিটু, কাজিউল ইসলাম,শফিউল আলম, রেদওয়ানুল হক দুলাল, আনিছুর রহমান চাঁদ, মার্শাদ হোসেন খুকী, ওয়াহেদুন্নবী সাগর, সফিকুল ইসলাম সাকিব প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত কুড়িগ্রাম-রাজারহাট-তিস্তা মহাসড়ক প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। ১৯দশমিক ৯কিঃ মিঃ দৈর্ঘ্যের সড়কে ২টি সেতু ও ৩টি কালভার্টসহ প্রকল্পটি ২০১৯ সালের জুনে শেষ হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অভিযোগ করেন,‘বিএনপি হলো বাংলাদেশ নালিশ পার্টি (বিএনপি)। শুধু নালিশ। ভাঙ্গা রেকর্ড বাজায়। নতুন মুখ নেই। সব পুরোন মুখ। মরা গাঙ্গে জোয়ার আসে না। প্রেস রিলিজ আর প্রেস ব্রিফিং এর মধ্যে শেষ। বিএনপি’র মহাসচিব ফখরুল ইসলামকে ইঙ্গিত করে বলেন, তিনি তো এখন জ্যোতিষি। আওয়ামীলীগ কত ভাগ ভোট পাবে, কতটি সিট পাবে তা তিনি একেকবার একেক ভাবে পরিসংখ্যান দেন মিডিয়ায়।’
প্রতিনিধি সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন। এ জন্য তিনি নেতা-কর্মীদের জনগনের পাশে থাকবার নির্দেশ দেন। সদস্য সংগ্রহের কাজ আরো জোড়দার করবার আহ্বান জানান। এজন্য ঘরে বসে না থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটার এবং নারী ভোটারদের সদস্য করার পরামর্শ দেন। কারণ এরাই হবে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের হাতিয়ার। তৃণমূলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মুল্যায়ন করতে বলেন।
তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের উদ্দ্যেশে বলেন, প্রতিযোগীতা থাকা ভাল। তবে অসুস্থ্য প্রতিযোগিতা করবেন না। সবার আমল নামা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আছে। ভাল কাজ করেন, নিজের আত্মীয়-স্বজন ও কাছের মানুষদের ভাল কাজ এবং ভাল ব্যবহার করতে বলেন। এভাবে যারা ভাল নম্বর পাবেন শেখ হাসিনা তাকেই মনোনয়ন দেবে। মাঠ পর্যায় থেকে জনপ্রিয়তা মুল্যায়ন করা হবে।
কুড়িগ্রাম জেলার ব্যাপক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, এখন আর বাসন্তি নেই। অভাব নেই। আওয়ামীলীগ সরকারের কারনে এ অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। তিনি কুড়িগ্রামে চলমান সকল উন্নয়ন মুলক কাজ দ্রæততম সময়ে শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেন। সেই সাথে নতুন নতুন প্রকল্প প্রস্তাবনার তালিকা প্রস্তুত করে স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশদেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।