বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
খালেদা জিয়ার মামলার রায় কি পূর্বেই নির্ধারিত এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিগত কয়েক দিনে সরকারের মন্ত্রী, জাতীয় পার্টির সদস্য এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সরকারের বিশেষ দূত হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদের বক্তব্যেও মনে হচ্ছে এই সরকার পূর্বেই রায় লিখে রেখেছে? কারণ তারা বলছেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হবে। তাতে মনে হচেছ দেশনেত্রীর মামলার রায় পূর্বেই নির্ধারিত। যদি তাই হয় তবে এই বিচারের প্রহসনের কোনও প্রয়োজন ছিল না। দেশে যে আইনের শাসন নেই-ন্যায় বিচার সুদুর পরাহত এমন বক্তব্যে সেটাই প্রমাণিত হলো।
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, বিচারাধীন মামলা নিয়ে এমন বক্তব্যে আদালত অবমাননার সামিল হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
তিনি বলেন, দেশনেত্রীর বিচার হবে প্রধানমন্ত্রী যা চাইবেন তাই। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে বলপূর্বক দেশ থেকে বহিষ্কার ও পদত্যাগে বাধ্য করার মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা শেষবারের মতো নি:শেষ হয়েছে। ফখরুলের দাবী নিম্ন আদালতের বিচারকদের আচরণবিধি সরকারের ইচ্ছা মতোই হয়েছে। এর নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সরকার মিথ্যা মামলায় রাজনীতি থেকে দুরে রাখতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য ২৪টি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তার মধ্যে দুটো মিথ্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। সপ্তাহে তিন দিন দেশনেত্রীকে আদালতের হাজির হওয়ার নজিরবিহীন। এই সরকার বেগম জিয়াকে ভয় করে বলেই তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।