Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিল্পখাতে কারিগরি দক্ষতা বাড়াবে ইইউ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আঞ্চলিক অঙ্গীভূতকরণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের শিল্পখাতে কারিগরি দক্ষতা বাড়াতে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মিজ রেঞ্জে টিরিঙ্ক।
গতকাল বুধবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা জানান। শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের উন্নয়ন, শ্রম আইন, বিসিকের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রিজম প্রকল্প, শিল্পখাতের গুণগত মান অবকাঠামো উন্নয়নসহ অন্যান্য বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টস্ দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ বিদ্যমান শ্রম আইন সংশোধন করে যুগোপযোগী করেছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গাইডলাইন অনুযায়ী শ্রমআইনকে বিশ্বমানে উন্নীত করা হয়েছে। তিনি শিল্পখাতে কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধিতে ইইউ কারিগরি সহায়তা চান। এছাড়া, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পুরাতন কারখানাগুলোর আধুনিকায়নে যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব করেন।
ইইউ রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে পরিণত হতে বাংলাদেশ দ্রæত অর্থনৈতিক উন্নয়নে পথে এগিয়ে চলেছে। তিনি শ্রম আইনের আধুনিকায়ণ শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, এসএমইখাতের উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস দেন। এসময় অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ এনামুল হক ও বেগম পরাগ উপস্থিত ছিলেন।
পরে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকালে রোহিঙ্গা ইস্যু, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন, নারীদের নিরাপত্তা উন্নয়নসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. এনামুল হক ও বেগম পরাগ উপস্থিত ছিলেন।
মিজ মিয়া সেপ্পো রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিরকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের আশ্রায়ন ও ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও সাধারণ জনগণ যেভাবে এক সাথে কাজ করেছে, তা সিভিল-মিলিটারি কোঅপারেশনের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তিনি জাতিসংঘে বাংলাদেশের ভূমিকা এবং বিশ্বশান্তি মিশনে বাংলাদেশি সেনাবাহিনীর অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে আশ্রয় দিলেও তাদেরকে দ্রুত নিজেদের ভূ-খন্ডে ফিরিয়ে নিতে হবে। এ লক্ষ্যে তিনি জাতিসংঘের ভূমিকা আরো জোরদারের পরামর্শ দেন।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের দমনে সক্ষম হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
শিল্পমন্ত্রী প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ দেশ হিসেবে জলবায়ুর পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় এবং সবুজ শিল্পায়নের ধারা জোরদারে জাতিসংঘের সহায়তা কামনা করেন। জবাবে মিজ মিয়া সেপ্পো এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইইউ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ