পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ বলেছেন, ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংকটের একমাত্র সমাধান হলো দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান। আম্মানে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে এক বৈঠকে জর্ডানের বাদশাহ এই মন্তব্য করেছেন। পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী করতে হবে বলেও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। এর আগে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের জেরুজালেম সফরকে এর আগে প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়েছিল ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সংগঠন হামাস। পেন্সের সঙ্গে তার বৈঠক বাতিল করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও। গত জুলাই মাসে আম্মানে ইসরায়েলি দূতাবাসের প্রহরীরা দুই জর্ডানি নাগরিককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ইসরায়েল দুঃখ প্রকাশ করার পর বাদশাহ আব্দুল্লাহ এমন বিবৃতি দিলেন। খবরে বলা হয়, ইসরাইল আনুষ্ঠানিকভাবে ওই হত্যাকান্ডের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। তাছাড়া জর্ডান সরকারের মাধ্যমে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ লাখ ডলার দিয়েছে দেশটি। খুব দ্রুত সেখানে দূতাবাসের কার্যক্রম চালু করা হবে বলেও জানিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সংকটের সবচেয়ে স্পর্শকাতর বিষয় হলো জেরুজালেম। ১৯৮০ সালে জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষণা করেছিল ইসরাইল। তবে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় এর সমর্থন দেয়নি। আর ফিলিস্তিনিরা চায় দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেম যেন তাদের রাজধানী হয়। এ কারণে সেখানে কোনও দেশ দূতাবাস স্থাপন করেনি। গত ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী স্বীকৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খুব শিগগিরই মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি। তার এই সিদ্ধান্তে সারাবিশ্বে নিন্দার ঝড় ওঠে। ঘোষণার পরপরই জেরুজালেম, গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীরের রামাল্লা, হেবরন, বেথলেহেম, নাবলুস, কালকিলিয়া, তুলকার্ম ও জেনিনের রাস্তায় নেমে আসেন মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিরা। বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলে পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। হতাহত হন বহু বিক্ষোভকারী। তারপরও দমে যাননি মুক্তিকামী মানুষেরা। প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন তারা। এনিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভোট হলে মার্কিন স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যানের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১২৮টি দেশ। বিপরীতে ট্রাম্পের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় মাত্র ৯টি দেশ। ভোটদান থেকে বিরত ছিল ৩৫ দেশ। রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।