বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট জেলা ছাত্রদল সভাপতি সাঈদ আহমদকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ।
গতকাল এক বিবৃতিতে ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকরামুল হাসান বলেন, শুক্রবার বিকেল বেলা সিলেট জেলা ছাত্রদল সভাপতি সাঈদ আহমদকে উপ-শহরের বাসা থেকে সাদা পোষাকে গ্রেফতার করে নেয় র্যাব। বিষয়টি তার পরিবার ও স্থানীয়রা স্বচক্ষে দেখলেও এখন তাকে গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করছে র্যাব।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশটা এখন ঘুম, খুন আর আইনের অপপ্রয়োগের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। এই অবৈধ সরকার টার্গেট করে ছাত্রদলের তরুণ নেতৃত্বকে আইনের অপপ্রয়োগের মাধ্যমে বিনাশের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কোন যুক্তি সংগত কারন ছাড়াই কাউকে গ্রেফতার করে তারপর অস্বীকার করা এখন রীতিমত এই দেশে রীতিতে পরিনত হয়েছে।
অবিলম্বে সাঈদকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান ছাত্র দল নেতারা। অন্যথায় আইনের এই অপকৌশল প্রয়োগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।
তনু ধর্ষণকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার দাবি
অপর এক বিবৃতিতে দ্রæত সময়ের মধ্যে সোহাগী জাহান তনুর ধর্ষণকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির আরেকটি বলি হল সোহাগী জাহান তনু। গণতন্ত্রহীন এই দেশে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, বিচার ব্যবস্থার একচোখা নীতি, এসব কিছু দেশটাকে সন্ত্রাসী আর গুন্ডা-পান্ডদের অভয়ারণ্যে পরিনত করেছে। বর্তমানে দেশে বিশেষ একটি দলের নেতা-কর্মী হলে, তাদের আশীর্বাদপুষ্ট হলে যেকোন প্রকার অপকর্ম করেই সহজেই রেহাই পাওয়া যায়। তাই দেশজুড়ে অপরাধ-অপকর্ম বাড়ছে। গোটা দেশটা শশ্মানে পরিনত হয়েছে। রাত হলে মা-বোনদের ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হচ্ছে আর দিনের বেলায় প্রকাশ্যে গুলি করে মারছে পুলিশ-বিজিব।
নেতারা বলেন, যে দলের ছেলেরা ধর্ষণে সেঞ্চুরী করে প্রকশ্যে ঘোষণা দেয়, সেই দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ধর্ষণের বিচার চাওয়া নিয়তির পরিহাস। দেশে আইন-শৃঙ্খলার কতটা অবনতি হলে দেশের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গায় নিজের সম্ভ্রম হারিয়ে জীবন দিতে হল তনুকে। এর পিছনে বর্তমানে দেশের গণতন্ত্রহীনতাকে দায়ী করেন নেতারা।
অবিলম্বে এবং দ্রæত সময়ের মধ্যে তনু ধর্ষণকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।