পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কটের কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। নগরীর আন্দরকিল্লায় অবস্থিত ১৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালটি ২০১১ সালে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও জনবল বাড়েনি। হাসপাতালে ১১ জন চিকিৎসা কর্মকর্তা (এমও) কর্মরত রয়েছেন। তাদের ছয়জন পালা করে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা দেন। অপর পাঁচজন বহির্বিভাগে রোগী দেখেন। হাসাপতালের আটটি ওয়ার্ডের জন্য কোন চিকিৎসা কর্মকর্তা নেই। সাতজন সহকারী রেজিস্ট্রার ও একজন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মূলত এসব ওয়ার্ডের দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ধার করে চিকিৎসা কর্মকর্তা এনে (সংযুক্তিতে) ওয়ার্ডগুলোতে চিকিৎসা সেবা চালানো হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি এ হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে রোগী থাকে ৩শ জন। ১০টি বহির্বিভাগে রোগী হয় দিনে গড়ে ১ হাজার থেকে ১২শ জন। বহির্বিভাগে পাঁচজন চিকিৎসা কর্মকর্তা ছাড়াও কনসালটেন্টরা রোগী দেখার পাশাপাশি অস্ত্রোপচারও করে। এখানে মাসে গড়ে ২৫০ থেকে ৩শ অস্ত্রোপচার হয়। হাসপাতালটিতে ১৮টি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (কনসালটেন্ট) পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ১৪ জন। এর মধ্যে ১৭ জন কনসালটেন্ট বর্তমানে সংযুক্ত রয়েছেন। এছাড়া সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তাও সংযুক্ত রয়েছেন। তাদের মূল কর্মস্থল শহরের বাইরে হলেও সপ্তাহে চারদিন জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন।
সিনিয়র চিকিৎসক থাকলেও চিকিৎসা কর্মকর্তার অভাবে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম বিঘিœত হচ্ছে বলে হাসপাতালের সাথে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে। হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক জানান, ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও এখানে আগের ১৫০ শয্যার জনবল রয়েছে এখনও। ওয়ার্ডের জন্য কোনো চিকিৎসা কর্মকর্তা নেই। ফলে সেবা দিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কিছু চিকিৎসা কর্মকর্তা সংযুক্তি রয়েছেন। দুই-তিন ওয়ার্ড মিলে একজনকে দিয়ে রাতের পালা চালাতে হয়। বর্তমানে জেনারেল হাসপাতালে স্ত্রী ও প্রসূতি বিভাগ, মেডিসিন বিভাগ, শিশু স্বাস্থ্য বিভাগ, অর্থোপেডিক বিভাগ, হৃদরোগ, সার্জারীসহ আটটি ওয়ার্ড রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে কনসালটেন্ট রয়েছেন। তারা বেলা দুইটা পর্যন্ত থাকেন। একই সময়ে ওয়ার্ডগুলোতে সাতজন সহকারী রেজিস্ট্রার কাজ করেন।
তবে হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের চিত্র ভিন্ন। এখানে চিকিৎসক থাকলেও রোগী আসেন কম। সিসিইউ না থাকায় রোগী আসতে চান না বলে জানান চিকিৎসকরা। মেডিসিন, অর্থোপেডিক বিভাগে রোগী বেশি হয়। অর্থোপেডিক বিভাগে শয্যা রয়েছে ১৮টি। এর বাইরে অর্থোপেডিকি বহির্বিভাগে দিনে ৭০-৮০ জন রোগী থাকে। এ বিভাগে সহকারী রেজিস্ট্রারের কোন পদ নেই। সার্জারীর দুইজন সহকারী রেজিস্ট্রারের একজনকে ধার করে এনে কাজ চালাতে হয়। সংযুক্তিতে দুইজন কনসালটেন্ট থাকলেও সম্প্রতি তাদের সংযুক্তি বাতিল হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।