বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এম.আর রুবেল, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : রাস্তা নেই তবু তৈরি করা হয়েছে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে ব্রীজ। কেন বা কার স্বার্থে ওই ব্রীজ দুটি তৈরি করা হয়েছে উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না এলাকাবাসী। কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নে ৩১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৬ টাকা ব্যয়ে নির্মিত দুটি ব্রীজ তৈরি করা হলেও জনগণের কোন কাজে আসছেনা। কারণ রাস্তা তৈরি না করেই ব্রীজ দুটি নির্মাণ করায় এক পায়ে দাঁিড়য়ে আছে ওই দুটি ব্রীজ। ব্রীজের চারদিকে ডোবা, নেই কোন রাস্তা, মাটি ভরাট না করায় ব্রীজে উঠার মতো কোন পরিস্থিতি নেই। ব্রীজের দুপাশে মাটি ভরাট ও রাস্তা তৈরি করে জনগণের চলার উপযোগী করে তোলা হলে সেখানে মানুষ উপকার পেত, এখানে দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে পথচারী ও এলাকাবাসী লোকজন। কুলিয়াচর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস কর্তৃক ব্রীজ দুটি নির্মাণ করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় খোকন মিয়া সহ একাধিক লোকজনের সাথে কথা বললে তারা অভিযোগ করে বলেন, যেখানে রাস্তা আগে করার দরকার ছিল, সেখানে দুটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। একটি ব্রীজের গোড়ায় কিছুটা মাটি ভরাট করা হলেও অন্যটির দু’পাশে এখনো কোন মাটি ভরাট হয়নি। ফলে বর্তমানে ওই রাস্তা দিয়ে আগে মানুষ চলতে পারলেও এখন যাতায়তে বিঘœ ঘটায় দূর্ভোগ পৌঁহাতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, গত অর্থ বছরের ৩০ জুন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস উপজেলার উছমানপুর ডিসি রাস্তা হতে ছিনাইপুর পর্যন্ত মুসলিম মিয়ার বাড়ীর জমির পাশে ১৫লাখ ৯১ হাজার ৭৬৮ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজের দু’পাশে রাস্তায় মাটি ভরাটের সিডিউল থাকলেও মাটি ভরাট হয়নি। জেলার অষ্ট্রগ্রাম উপজেলার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স শহীদুল ইসলাম জেমস ওই ব্রীজটি নির্মাণ করেন। নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত বিশম্বর বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে কিছু দিনের মধ্যেই সেতুর দু’পাশে সংযোগ রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ শুরু করা হবে বলে জানান।
অপরদিকে একই ইউনিয়নের উছমাপুর ডিসি রাস্তার নয়নের দোকানের মোড় হতে রেললাইনের পাশে ঈদগাহ নিকট পর্যন্ত রাস্তায় ১৫লাখ ৯১ হাজার ৭৬৮ টাকা ব্যয়ে নির্মিত অপর ব্রীজটিরও একই অবস্থা। সামান্য জায়গায় মাটি ভরাট করায় তাল গাছের মতই এক পায়ে দাড়িয়ে থাকা ব্রীজটি কোন কাজেই আসছেনা। এ ব্রীজটির নির্মাণ কাজ করেন জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সামিয়া এন্টারপ্রাইজ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স¦ত্বাধিকারি শাহ নবী বলেন, সামান্য জায়গায় মাটি ভরাট হয়েছে বাকী জায়গায় কিছুদিনের মধ্যেই মাটি ভরাটের কাজ শুরু হবে।
সরকারী অর্থ ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজ দুটির বিষয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্ত মো. নজরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, ব্রীজ দুটির পাশে মাটি ভরাট না করায় কাজের ফাইনাল রিপোর্ট এখনো দেয়া হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।