বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার কেরানীগঞ্জের বেউতা এলাকায় ভণ্ড কবিরাজ মফিজুর রহমান মফিজকে ১০ টুকরা করে হত্যা মামলার তিন আসামীকে ২১দিন পরে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা দক্ষিণ ডিবি পুলিশ । গ্রেফতারকৃত আসামীরা হচ্ছে নজরুল ইসলাম(৩০), সালাহ উদ্দিন(২৮) এবং মাকসুদা আক্তার লাকি(৪০)। আজ দুপুর ২টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কদমতলী গোলচত্বর এলাকায় জেলা ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে আসামীদের গ্রেফতার ও ঘটনার মুল রহস্য উদঘাটন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করা হয় ।
সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান(অপরাধ) জানান, মালয়েশিয়া প্রবাসী আল-আমিনের স্ত্রী এক সন্তানের জনক মাকসুদা আক্তার লাকি আরো সন্তান লাভের আশায় সাভারের ভাকুর্তা বটতলা বাজারের ভণ্ড কবিরাজ মফিজের কাছে চিকিৎসার জন্য গেলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তাকে
ধর্ষণ করে। এই সূত্র ধরেই ভণ্ড কবিরাজ মফিজ মাকসুদার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতির ভয় দেখিয়ে তাকে প্রায়ই জোরপূর্বক ধর্ষণ করতো। এই ভণ্ড কবিরাজের হাত থেকে বাঁচার জন্য মাকসুদা বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় । উপায়ন্তর না দেখে সে ঘটনাটি তার দেবর সালাহ উদ্দিন ও নজরুলকে জানালে তারা ভণ্ড কবিরাজকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ৩১ ডিসেম্বর রাত ৯টায় ভণ্ড কবিরাজ মফিজ মাকসুদার বাড়িতে জোরপূর্বক আসে এবং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় লাকি কৌশলে চায়ের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে তাকে খেতে দেয় । পরে ভাত ও গরুর মাংসের সাথে আরো ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ালে ভণ্ড কবিরাজ ঘুমিয়ে যায় । এসময় মাকসুদা তার দেবর নজরুল ও সালাহ উদ্দিনকে ডেকে এনে তারা শাড়ি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে ভণ্ড কবিরাজকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।লাশ গুমের উদ্দেশ্যে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে । পরবর্তীতে শরীরের হাত-পাসহ অন্যান্য অংশ ১০টুকরা করে পলিথিনে মুড়িয়ে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়। গত ২জানুয়ারী বেউতা এলাকায় জনৈক আক্তারে মাগুর মাছের খামারে ভাসমান অবস্থায় ভণ্ড কবিরাজের খণ্ডিত মস্তক বিহীন দেহ ও খণ্ডিত হা-পা কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ উদ্ধার করে। এতে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।গত ৫জানুয়ারী মামলাটি ঢাকা জেলা দক্ষিণ ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গত ১৭ জানুয়ারি নিমতলীর ব্রিজের পাশ থেকে নিহতের মস্তক উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ । পরে সাভার থানায় ভণ্ড কবিরাজের ভাই শাহিনের করা একটি নিখোঁজ জিডির সূত্র ধরে ঢাকা জেলা দক্ষিণ ডিবির ওসি শাহজামান, ওসি তদন্ত মোঃ নাজমুল হাসান ও এসআই মোস্তাফিজুর রহমান অভিযান চালিয়ে দেবর নজরুল, সালাহ উদ্দিন এবং মাকসুদাকে গ্রেফতার করে এই হত্যাকাণ্ডের মুল রহস্য উদঘাটন করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামানন্দ সরকার ,ঢাকা জেলা দক্ষিণ ডিবির ওসি শাহজামান মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের ও ডিবির ওসি তদন্ত মোঃ নাজমুল হাসান প্রমুখ ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।