পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকার বাহিরে বিভিন্ন কেন্দ্রে সরকার সমর্থিত প্যানেলের অনুসারীরা বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী পরিষদের ভোটার ও সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হামলা করেছে এমন অভিযোগ এনে আগামীকাল ঢাবির কেন্দ্রগুলোতে অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন সুষ্ঠ করার দাবি করেছে জাতীয়তাবাদী পরিষদ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী পরিষদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো: আখতার হোসেন খান এ আহ্বান জানান। এসময় ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, ঢাবির অধ্যাপক ও সিনেটের সাবেক সদস্য ড. মোর্শেদ হাসান খান, ঢাবি সাদা দলের শিক্ষক নেতা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তবে জাতীয়তাবাদী পরিষদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান উপস্থিত ছিলেননা।
লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক আখতার হোসেন খান বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখ ও ক্ষোভের সাথ জানাচ্ছি যে এই রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে আমরা নির্ভয়ে প্রচার কাজ করতে পারিনি এমনকি কয়েকটি কেন্দ্রে আমাদের সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। পটুয়াখালি, ভোলা সরকারি কলেজ, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজ, এবং ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ কেন্দ্রে নির্বাচনী প্যান্ডেল ভেঙ্গে দিয়ে আমাদের সমর্থকদের ওপর লাঠি, রড ইত্যাদি দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে এবং নির্মমভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। হামলায় গুরুতর আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাও নিতে হয়েছে।
এই কেন্দ্রগুলো ছাড়াও অনেক কেন্দ্রে আমাদের সমর্থকদের প্রচার কাজে বাধা প্রদান করা হয়েছে এমনকি কোথাও কোথাও ভোটারদেরও ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমরা এসব ঘটনার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও লিখিতভাবে জানিয়েছি। ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মুক্তবুদ্ধিচর্চার পাদপীঠ এবং গণতন্ত্রের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির সাথে এ ধরনের কর্মকান্ড কোনোভাবেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
তিনি বলেন, ঢাবির অভ্যন্তরীণ অন্যান্য নির্বাচনসমূহ সাধারণত একটি উৎসবমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এখানে দলমত নির্বিশেষে সকল ভোটার এবং প্রার্থীরা বরাবরই সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে সিনেটের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটস প্রতিনিধি নির্বাচনের সময় এর ব্যতয় ঘটছে। তবে সবারই মনে রাখা উচিৎ যে এই নির্বাচনে যারা ভোট দিতে আসেন তারা সবাই এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী। তাদের কাছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হোক তা কখনোই কাম্য হতে পারে না।
ড. আখতার হোসেন খান বলেন, সারা জাতি আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনী পরিবেশের ওপর প্রখর দৃষ্টি রাখছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ কেমন হবে তার একটা প্রমাণ পাওয়া যাবে এই নির্বাচনে। তাই জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ সম্পর্কে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য হলেও ঢাবির নির্বাচনী পরিবেশ কালিমামুক্ত রাখা অপরিহার্য। তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ঐতিহ্যবাহী ঢাবির মান সম্মান অক্ষুণœ রাখার স্বার্থে এই নির্বাচনের শেষ ধাপে এসব অনাকাঙ্খিত, অনভিপ্রেত এবং ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ঢাবি প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। নতুবা সকল দায় দায়িত্ব সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপরই বর্তাবে।
সংবাদ সম্মেলনে সিনেটে প্রার্থীদের মধ্যে ড. উম্মে কুলসুম রওজাতুর রোম্মান, একেএম ফজলুল হক মিলন, এটিএম আব্দুল বারী ড্যানি, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, অধ্যাপক জেডএন তাহমিদা বেগম, ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, ডা. মো: মোয়াজ্জেম হোসেন, মো: সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মো: সেলিমুজ্জামান, শওকত মাহমুদ, অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, আগামীকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। ঢাবি নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন (১ থেকে ১৮০০০ পর্যন্ত আজীবন সদস্য), ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসিতে (১৮০০১ থেকে ৩৭২৩৩ পর্যন্ত আজীবন সদস্য) এবং শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে (৩৭২৩৪ থেকে ৪৩৯৯৭ পর্যন্ত এককালীন সদস্য) ভোটগ্রহণ হবে। আগামী ২১ জানুয়ারি রোববার ভোটগণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে ঢাবির জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।