স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপ-নির্বাচন ও স¤প্রসারিত অংশের কাউন্সিলর নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত। একইসঙ্গে ওই নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং দুই সিটিতে নতুন যুক্ত হওয়া ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কউন্সিলর নির্বাচনের জন্য গত ৯ জানুয়ারি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করে নির্বাচনের বিস্তারিত সময়সূচি দেয়া হয়। ওই তফসিলের বৈধতা চ্যালঞ্জ করে এবং তফসিলের কার্যকরিতার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গত মঙ্গলবার রিট আবেদন করেন ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।
তাদের মধ্যে আতাউর ভাটারা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, আর জাহাঙ্গীর বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাদের দুই ইউনিয়নকে সিটি করপোরেশনের স¤প্রসারণে ওয়ার্ড হিসেবে যুক্ত করে নেওয়া হয়েছে। আতাউর রমানের পক্ষে হাইকোর্টে শুনানি করেন মোস্তাফিজুর রহমান খান ও আহসান হাবিব ভূঁইয়া। আর জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে কামরুল হক সিদ্দিকী ও মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন সেলিম। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান। রিটকারী পক্ষ শুনানিতে বলে, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলা হলেও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত ভোটার তালিকাই প্রকাশ করা হয়নি। আহসান হাবিব ভূঁইয়া যুক্তি দেন, এখন যিনি প্রার্থী হবেন, তিনি কিন্তু জানেন না তিনি ভোটার কিনা। তাছাড়া মনোনয়নপত্রে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষর থাকতে হবে। ভোটার তালিকা প্রকাশ না হলে সেটা কীভাবে সম্ভব?
তিনি আরো বলেন, উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টির ওয়ার্ড ধরলে কাউন্সিলরের সংখ্যা পঁচাত্তর শতাংশ হয় না। কারণ নতুন ১৮টিতে তো নির্বাচনই হয়নি। সে হিসাবে মেয়র পদই তো গঠিত হচ্ছে না। তাছাড়া স¤প্রসারিত ৩৬টি ওয়ার্ডে যারা কাউন্সিলর হবেন, তারা পুরো পাঁচ বছর পাবেন না- কেন সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলা হয় ওই রিট আবেদনে।