পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : সশস্ত্র সুন্নিপন্থি সংগঠন আইএস কিংবা প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন অন্য সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর হাতে পারমাণবিক অস্ত্র পৌঁছে যাচ্ছে বলে যে আশঙ্কা করা হয়ে থাকে তা খুবই উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন। সন্ত্রাসীদের হাতে যেন কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্র না পৌঁছাতে পারে তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে ব্রিটেনের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন মি. ফ্যালন। যুক্তরাজ্যের ট্রাইডেন্ট পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে বক্তব্যের পর বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ফ্যালন উপরোক্ত কথা বলেন। ব্রাসেলসে হামলার পর সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের অবস্থান কী হবে, এ নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের কৌশলগত প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা পর্যালোচনাবিষয়ক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্য সরকারের তরফে সতর্ক করা হয় যে আসছে বছরগুলোতে সন্ত্রাসীদের হাতে পারমাণবিক, রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্র পৌঁছে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে যেন পারমাণবিক অস্ত্র না পৌঁছাতে পারে তা নিশ্চিত করতে এ সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত প্রযুক্তিগত উপকরণ রফতানির ওপর যুক্তরাজ্য কড়াকড়ি আরোপ করছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বাইরে অন্য কোনো গোষ্ঠীর হাতে এ ধরনের অস্ত্র কিংবা প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও অর্থ পৌঁছানোটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। আর সে কারণে আমরা পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত প্রযুক্তি রফতানির ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করে থাকি। পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনা করতে চলতি মাসের শেষ নাগাদ ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বনেতাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ২০১০ সালের পর এটি এ ধরনের চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলন।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, দেশে ও বিদেশে সন্ত্রাস আতঙ্ক বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ সরকার দেশের ভেতরকার নিরাপত্তা জোরদার করেছে। যুক্তরাজ্যের বর্ডার ফোর্স বেলজিয়াম ও ফ্রান্সের বন্দরে অতিরিক্ত কর্মকর্তা নিয়োজিত করেছে। পর্যটকবাহী গাড়িগুলোতে তল্লাশি জোরালো করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। লেবার দলের ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ডি বার্নহামের এক প্রশ্নের জবাবে থেরেসা মে জানান, যুক্তরাজ্যে প্যারিস স্টাইলের হামলা মোকাবেলায় পুলিশ ইউনিটের সক্ষমতা বাড়াতে ৩৪ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করা হয়েছে। ইনডিপেনডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।