Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফেরত যাওয়া রোহিঙ্গাদের দুর্দশার বিষয়ে হাউজ অব কমন্সের উদ্বেগ

আবারো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ব্যর্থ হোক এমনটা আমরা চাই না

| প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : দেশে ফিরে যাওয়ার পর রোহিঙ্গারা যে দুর্দশার শিকার হবেন সে বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের হাউজ অব কমন্সের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমিটি। এ বিষয়ে তারা গত সোমবার একটি নতুন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এতে মিয়ানমারের কর্মকান্ডে একটি ভয়াবহ মানবীয় ট্রাজেডি সৃষ্টির নিন্দা জানানো হয়। বলা হয়, আবারো আরেকটি দীর্ঘ মেয়াদী শিহরণ সৃষ্টিকারী পরিস্থিতি, রাজনৈতিক একগুঁয়েমি, সীমান্ত অতিক্রম করে বাস্তুচ্যুত হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে উগ্রপন্থার একটি পাউডার কেজ হয়ে উঠার অত্যন্ত বাস্তবসম্মত আভাস দেখা যাচ্ছে। তবে ক্ষেত্রে কোনো নিশ্চয়তা দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে প্রত্যাবাসন নিয়ে সতর্কতা প্রকাশ করেছেন এমপিরা। তারা বলেছেন, যাদেরকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে তাদের সঙ্গে কোনো শলাপরামর্শ করার কোনো প্রমাণ মেলেনি। ব্রিটেনে বিরোধী দল লেবারের এমপি ও ওই কমিটির চেয়ারম্যান স্টিফেন টুইগ। তিনি বলেছেন, কখন এবং কিভাবে কার্যকরভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের মধ্যে ঐকমত্যের ঘাটতি আছে। আর এ সুযোগে কড়া মূল্য দিতে হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। তিনি বলেন, আবারো আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় ব্যর্থ হোক এমনটা আমরা চাই না। ব্রিটেনের অনলাইন দ্য টেলিগ্রাফ এ খবর দিয়েছে। সাংবাদিক নিকোলা স্মিথ তাইফে থেকে লিখেছেন, রোহিঙ্গারা দেশে ফিরে গেছে অন্তর্বর্তী আশ্রয়শিবিরে গাদাগাদি করে রাখা হবে। এর ফলে ওই আশ্রয়শিবির পরিণত হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি এক বস্তিতে এবং সেটা হতে পারে উগ্রপন্থার একটি পাউডার কেজ। তা জানা সত্তে¡ও আগামী সপ্তাহে আন্তর্জাতিক সতর্কতার পরও রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে মিয়ানমারে পাঠানো শুরু করতে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে ২৫ আগস্ট নৃশংসতা শুরুর পর কমপক্ষে সাড়ে ৬ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে যায়। মিয়ানমারে ব্যাপক গণধর্ষণ, হত্যা, অগ্নিসংযোগের বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট সত্তে¡ও রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে একমত হয়। মিয়ানমারের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী উইন মাইয়াত আই গত সোমবার নিশ্চিত করেছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৩ শে জানুয়ারিই শুরু হবে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম। তবে ওইদিনই রাষ্ট্র পরিচালিত মিডিয়ার খবরে বলা হয়, ১২৪ একরের হ্লা পো খাউং ক্যাম্পে গড়ে তোলা হচ্ছে অস্থায়ী আশ্রয় শিবির। সেখানে থাকবে ৬২৫টি ঘর। তাতে ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া হবে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলেছে, তারা এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত নয়। ততে অনুমতি মিললে তারা এতে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে মিয়ানমারে সাম্প্রতিক সময়ে ফেরত পাঠানো রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গ টেনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থাগুলো। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক উপ-পরিচালক ফিল রবার্টসন বলেছেন, ফেরত যাওয়া শরণার্থীদের জাতীয়তা যাচাই প্রক্রিয়ায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ অগ্রাধিকারে নিয়ে এসেছে মিয়ানমার সরকার। ফিরে যাওয়ার পর নিজেরা নিরাপদ বা সুরক্ষিত থাকবেন এবং তাদের সঙ্গে ভাল আচরণ করা হবে এ বিষয়ে কোনো আস্থা নেই রোহিঙ্গাদের মধ্যে। তাদের মধ্যে আতঙ্ক যে, ফিরে যাওয়ার পর ওই ‘ইন্টারনাল ডিসপ্লেসড পারসন ক্যাম্প’ পরিণত হতে প্রিজন ঘেটো বা বন্দিদের বস্তিতে। দ্য টেলিগ্রাফ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ