পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) প্রায় দুই সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে শুক্রবার বাসায় ফিরেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দীন আহমদ। তবে জানে না কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারা। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধান থাকা অবস্থায় কোনো রাজনৈতিক দলে নেতা খোঁজ রাখেনি বলে জানা গেছে।
বিচারক হিসেবে বিচার বিভাগে যুগান্তকারী রায় প্রদান এবং রাজনীতিবিদ না হয়েও বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ও গণতান্ত্রিক ইতিহাসের এক আলোচিত নাম বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ। তিনি এখনো সবার কাছে নিরপেক্ষতা, সততা ও আস্থার প্রতীক। এ কারণেই তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। দুই দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবেও তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে নিজের দায়িত্বটুকু শতভাগ পালন করেছেন। কোনো ভয়ের কাছে মাথানত করেননি। কিন্তু এই নির্ভীক মানুষটি আজ বয়সের ভারে ন্যুব্জ। দেখতে দেখতে জীবন থেকে ৯২টি বছর পেরিয়ে গেছে। সাবেক এই প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থা এখন মোটেই ভালো নেই। বার্ধক্যজনিত নানা রোগে তিনি আক্রান্ত। কখনো কখনো শরীর ভীষণ বিদ্রোহ করে। তখন চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হতে হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর পেটে ব্যথা, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে মেডিসিন অনুষদের ডিন ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহর তত্ত¡াবধানে কেবিন বøকের ৬১১ নং কেবিনে ভর্তি হন। এ বিষয়ে মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, সাবেক প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দীন আহমদ পেটে প্রচÐ ব্যথা, শারীরিক দুর্বলতা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, পারকিনসন্স ছাড়াও বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। চিকিৎসা গ্রহণের পর বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে এবং তিনি আগের তুলনায় ভালো আছেন। বিএসএমএমইউতে চিকিৎসার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান প্রতিদিনই তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং দেখতে যান। তিনি ছাড়াও তাকে দেখতে যান প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন।
জানা গেছে, রাজধানীর গুলশান-২ নম্বর সেকশনের গ্রান্ড প্রেসিডেন্ট কনকর্ড নামের ভবনের ফ্ল্যাটে ছোট ছেলে সোহেল আহমদ, পুত্রবধূ ও নাতির সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্টের বসবাস। তারাই প্রেসিডেন্টের দেখাশোনা করেন। জীবন সঙ্গিনী আনোয়ারা বেগম চার বছর আগে মারা গেছেন। এরপর থেকে নিঃসঙ্গতা আরো বেড়েছে। ছেলে ও পুত্রবধূ সবসময় বাসায় থাকেন না। এ সময় সাবেক প্রেসিডেন্টের দেখাশোনার জন্য কেয়ারটেকার রয়েছে। অন্য ছেলেমেয়েরা দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯৯১ সালে তার অধীনে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। তখন তিনি আবার প্রধান বিচারপতির পদে ফিরে যান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২৩ জুলাই তাকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট করা হয়। ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৩০ সালের ১ জানুয়ারি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার প্রেমই গ্রামে জন্মগ্রহণ করা শাহাবুদ্দিন আহমেদ সারাটা জীবন সাধারণভাবেই কাটিয়েছেন। তার বাবার নাম তালুকদার রিসাত আহমদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।