Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সন্তানদের জন্য পাহাড় কেটে ৮ কিমি রাস্তা বানালেন বাবা

প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৯:১৯ পিএম, ১২ জানুয়ারি, ২০১৮

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের উড়িষ্যার একটি পাহাড়ি এলাকায় সন্তানদের স্কুলে যাওয়া সহজ করতে শুধু কোদাল ও শাবল দিয়ে আট কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করেছেন এক বাবা। এজন্য তার সময় লেগেছে প্রায় দুই বছর। অবশিষ্ট ৭ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে আরও তিন বছর কাজ করার পরিকল্পনা ছিল তার। তবে বিষয়টি আলোচনায় আসার পর এখন বাকি রাস্তা নির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছে স্থানীয় সরকার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে। জালান্ধার নায়েক নামের ওই বাবার তিন ছেলে রয়েছে। পাহাড়ি ও পাথুরে রাস্তা ধরে স্কুলে যেতে তিন ছেলের সময় লাগত প্রায় তিন ঘণ্টা। ফলে দুই বছর আগে সবজি বিক্রেতা একটি কোদাল ও শাবল দিয়ে সন্তানদের যাতায়াতের জন্য একটি সহজ রাস্তার খোঁড়ার কাজ শুরু করেন। এই সপ্তাহে ঘটনাটি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে সরকারের নজরে আসে। জালান্ধার বলেন, স্কুলে যাওয়া-আসার অপ্রশস্ত ও পাথুরে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা আমার সন্তানদের জন্য কষ্টকর ছিল। আমি প্রায়ই দেখতাম তারা পাথরে হোঁচট খেয়ে পড়ছে। ফলে আমি সিদ্ধান্ত নেই পাহাড়ের পাশ দিয়ে একটা রাস্তা তৈরি করার যাতে করে তারা সহজে হাঁটতে পারে। স্থানীয় কর্মকর্তা ব্রæন্ধা ডি বলেন, পাহাড় কেটে রাস্তা বানানোর জন্য নায়েকের উদ্যোগ ও দৃঢ়তা আমাকে বাকরুদ্ধ করেছে। তিনি জানান, রাস্তা তৈরি যে সময় ও শ্রম দিয়েছেন নায়েক সেটার মূল্য সরকার পরিশোধ করবে। নায়েক বাস করেন গুমসাহি গ্রামে এবং তার সন্তানদের স্কুল ফুলবানিতে। রাস্তাটি স্কুলের সঙ্গে গ্রামের সংযোগ তৈরি করেছে। তাদের পরিবারই শুধু গুমসাহি গ্রামে রয়ে গেছে। বাকিরা এই এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। এই বাবা জানান, তার পরিকল্পনা ছিল আরও তিন বছর ধরে কাজ করে অবশিষ্ট ৭ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করবেন। এই কাজটি সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব এখন নিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, জেলার কালেক্টর আমাকে আশ্বস্ত করেছেন গ্রামের রাস্তাটির কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। বিহারের দশরথ মানঝির ঘটনার সঙ্গে নায়েকের প্রচেষ্টাকে তুলনা করা হচ্ছে। বিহারের এক মজুর প্রায় ২২ বছর ধরে পাহাড় কেটে একটি রাস্তা তৈরি করেছিলেন। এর ফলে দুটি জেলার মধ্যে দূরত্ব ৪২ কিলোমিটার কমে গিয়েছিল। মানঝির ঘটনায় বেশ কিছু চলচ্চিত্রও নির্মাণ করা হয়েছে। পাহাড়ি পথ ধরে পার হতে গিয়ে স্ত্রীর মৃত্যুর পর মানঝি রাস্তা নির্মাণ শুরু করেন। ২০০৭ সালে তার মৃত্যু হয়। তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছিল। গার্ডিয়ান।



 

Show all comments
  • harun ur rashid ১৩ জানুয়ারি, ২০১৮, ৮:২৭ এএম says : 0
    We are with him.
    Total Reply(0) Reply
  • ওমায়ের আহমেদ শাওন ১৩ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:৪১ পিএম says : 0
    বড় দুর্ভাগ্য ! বাঙালী তথা বাংলাদেশী জাতির ! নায়েকের মত কোন শাসক বাংলাদেশে এখন নেই !
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সন্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ