গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
গাজীপুরের টঙ্গীতে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে ঢাকায় এসে বিক্ষোভের মুখে পড়া দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের জিম্মাদার মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভি কাকরাইল শুরা কার্যালয়ে পৌঁছেছেন। এখানে সরকারের প্রতিনিধি ও তার অংশগ্রহণের বিরোধীপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হবে।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি তাবলিগের কাকরাইল শুরা কার্যালয়ে যান। বিষয়টি জানান পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও কাস্টমসের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর আনুষ্ঠানিকতা সেরে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে গাড়িযোগে কাকরাইলের উদ্দেশে বেরিয়ে যান মাওলানা সাদ।
ইজতেমায় নেতৃত্বের প্রশ্নে বিরোধের জেরে মাওলানা সাদের আগমন ঠেকাতে সকাল থেকে বিমানবন্দরের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ করছেন হেফাজত ও বেফাকের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, কোনোভাবেই মাওলানা সাদকে ইজতেমায় অংশ নিতে দেয়া হবে না।
বিক্ষোভের আয়োজক নেতারা বলেন, আমাদের দাবি মানা না হলে সারাদেশ অচল করে দেয়া হবে। যেটা শাপলা চত্বরের সমাবেশকেও ছাড়িয়ে যাবে। আমরা সরকারের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি। তারপরও যদি দাবি না মানা হয়, তাহলে আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত লাগাতার অবরোধ চলবে।
বিমানবন্দরের সামনে বিক্ষোভ চলতে থাকায় সড়কের ময়মনসিংহমুখী উত্তরা-জসীমউদ্দিন মোড় পর্যন্ত এবং রাজধানীমুখী খিলক্ষেত, শেওড়া ছাড়িয়ে বনানী পর্যন্ত তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
তাবলিগ জামাতের অন্যতম শীর্ষ মুরুব্বি, দিল্লি নিজামুদ্দিনের জিম্মাদার মাওলানা সাদের কিছু বক্তব্য ও একক নেতৃত্বের প্রশ্নে বেশ কয়েক বছর ধরে আলেম-উলামা ও তাবলিগের মুরুব্বিদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।