পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তান মার্কিন মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে যে, সীমান্ত এলাকার উভয় পাশে তালেবানদের বিরুদ্ধে যদি বড় ধরনের অভিযান চালানো হয়, এবং সে অভিযান যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে এ অঞ্চলে তার গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কূটনৈতিক সূত্র ডনকে জানিয়েছে, তারা মনে করে যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আফগান নীতি হলো তালেবানদের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী আক্রমণ চালিয়ে তাদের পরাস্ত করা এবং তাদেরকে কাবুলের শর্ত মেনে সমঝোতায় আসতে বাধ্য করা। আমেরিকান যুক্তির সাথে খুব একটা পার্থক্য নেই পাকিস্তানের। কিন্তু তাদের একটা উদ্বেগ রয়েছে। সেটা হলো, অভিযান ব্যর্থ হলে কি হবে? নতুন কৌশল ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাট্টিস বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়া নীতি নিয়ে আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করছি। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এভাবেই আমরা কাজ করি। স¤প্রতি তিনি বলেন, এ নীতি পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই প্রযোজ্য। পাকিস্তানী কর্মকর্তা যারা যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ সব বিষয়ে কথা বলেছেন, তারা বলেছেন, তাদেরও যুক্তরাষ্ট্রের মতো একই লক্ষ্য- এ অঞ্চল, বিশেষ করে আফগানিস্তানকে জঙ্গিমুক্ত করা। তারা বলেছেন, পাকিস্তানের মতো আর কোন দেশই জঙ্গিদের কারণে এত ভুক্তভোগী হয়নি। আর অন্য কোন দেশও পাকিস্তানের মতো জঙ্গিবিরোধী অভিযানে এত সাফল্যও পায়নি। এই দুটো বিষয়ের স্বীকৃতি দিলেও ম্যাট্টিস পেন্টাগনে তার ব্রিফিংয়ে আফগান তালেবানদের পরাস্ত করার জন্য মার্কিনীদের সহযোগিতা করার জন্য ইসলামাবাদের প্রতি আহ্বান জানান। সেই সাথে হাক্কানি নেটওয়ার্কের কথা উল্লেখ করে ম্যাট্টিস বলেন, এরা পাকিস্তানে নিরাপদ অবস্থান থেকে সংগঠিত হয়ে আফগানিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ন্যাটোর কোয়ালিশান ফোর্সের সমস্ত সেনাদের তুলনায় পাকিস্তান এককভাবে অনেক বেশি সেনা হারিয়েছে। তবে আমাদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কিছু বিষয়ে শক্ত মতভেদ রয়েছে। এগুলো কাটিয়ে উঠতে আমরা কাজ করছি। এ যুদ্ধে জেতার জন্য পাকিস্তানের সাথে যুক্তরাষ্ট্র ব্যক্তিগত পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। হাক্কানি নেটওয়ার্ককে নিরাপদে তৎপরতা চালানোর সুযোগ করে দেয়া হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ অস্বীকারের পাশাপাশি পাকিস্তান সত্যিকার অর্থে যেটা জানতে চায়, সেটা হলো তালেবানদের কিভাবে পরাস্ত করবে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের আশঙ্কা হলো, তালেবানদের সঙ্গে প্রথমে কোন ধরনের আলোচনার চেষ্টা না করে সরাসরি তাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এ অভিযানেও টিকে যেতে পারে তালেবানরা। পাহাড়ি এলাকায় লুকিয়ে তারা এ যাত্রাতেও পার পেয়ে যেতে পারে, যেভাবে তারা অতীতে টিকে গেছে। ডন নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।