পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : ইউরোপে হামলা চালানোর জন্য কমপক্ষে ৪শ’ জিহাদিকে বিশেষ সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছে জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, হামলা চালানোর জন্য ইতোমধ্যে তাদের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছে। ব্রাসেলসে ভয়াবহ হামলার পর এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগান অভিযোগ করে বলেছেন, ব্রাসেলসে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের একজনকে গতবছর দেশটি থেকে নেদারল্যান্ডে দেশান্তরিত করা হয়েছিল। পরে তাকে বেলজিয়াম পাঠিয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি বেলজিয়াম ও ডাচ কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা তুরস্কের সতর্কতাকে আমলে নেয়নি। তিনি বলেন, ওই ব্যক্তিকে সিরীয় সীমান্তের কাছ থেকে তুর্কি সরকারি বাহিনী গ্রেপ্তার করেছিল।
খবরে বলা হয়, সম্প্রতি রুশ বিমান হামলার কারণে সিরিয়ার মাটিতে বেশ কিছু এলাকায় পরাজিত হওয়ার পর জেহাদি গোষ্ঠীটি এখন ইউরোপের দিকে নজর দিয়েছে। তাদের নেটওয়ার্ক ঘেঁটে এসব তথ্য উদ্ধার করেছেন ইউরোপ ও ইরাকের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তারা আইএসের নেটওয়ার্ক নিয়েই কাজ করছেন। এমনকি এক ফরাসি আইনজ্ঞ যিনি আইএসের নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণ করে থাকেন, তিনিও এ কথার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাদের নেটওয়ার্ক ও নানা তৎপরতা থেকে এটি এখন নিশ্চিত যে, পশ্চিমের দেশগুলোতে হামলা চালানোর জন্যই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ওই জিহাদিদের বিশেষভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আরো বলেন, নিজেদের মিশন সফল করার জন্য জিহাদিদের প্রতি শীর্ষ পর্যায় থেকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তারা সঠিক স্থান, সঠিক সময় ও সঠিক পদ্ধতি খুঁজে বের করার পরই যেন হামলাগুলো চালায়। সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ব্রাসেলসের বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলায় জড়িত দুই সহোদরের একজন তুরস্কে আটক হয়েছিলেন এবং পরে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষকে বিদেশি সন্ত্রাসবাদীর বিষয়ে সতর্কও করা হয়। কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোনও সতর্কতা অবলম্বন করেননি। তুর্কি কর্তৃপক্ষ গত বছর জুনে ব্রাহিম এল-বাকরাওইকে সিরীয় সীমান্তের নিকটবর্তী গাজিয়ানতেপ এলাকা থেকে আটক করে এবং পরে জুলাইয়ে তাকে নেদারল্যান্ডে ফেরত পাঠানো হয়। এরদোগান আঙ্কারায় সাংবাদিকদের বলেন, তাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আমরা ১৪ জুলাই ২০১৫ তারিখে বেলজিয়াম দূতাবাসকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে বাকরাওইকে কিভাবে নেদারল্যান্ড থেকে বেলজিয়ামে স্থানান্তরিত করা হয়, সে বিষয়ে এরদোগান কিছু উল্লেখ করেননি। বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষ এখনও ওই অভিযোগের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। বেলজিয়ামের বিচারমন্ত্রী কোয়েন জিনস বলেছেন, তিনি বিষয়টি জানতেন, কিন্তু ওই ব্যক্তি যে একজন সন্ত্রাসী হামলাকারী তা ধারণা করতে পারেননি। ওই আত্মঘাতীর নাম ব্রাহীম আল বাকরাওই। ব্রাসেলসে হামলা চালায় যে দুই সহোদর তাদের একজন তিনি। এছাড়া এই হামলায় আরো দুজন অংশ নেয়। ব্রাসেলসের বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারীরা জানান, ফুটেজে তিন সন্দেহভাজন হামলাকারীকে ব্যস্ত চেক ইন এলাকার দিকে বোমাভর্তি স্যুটকেস টেনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। বিবিসি, ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।