পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : আসামে বৈধ নাগরিকত্বের প্রথম খসড়া তালিকায় বিপুল সংখ্যক বাঙালির নাম বাদ পড়ায় সোচ্চার হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, আসামে জাতীয় নাগরিকত্ব নিবন্ধন (এনসিআর) তৈরির নামে আসলে ‘বাঙালি হটাও’ অভিযান শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে। এর আগে বুধবার বীরভূমে এক জনসভায় এ অভিযোগ করেন মমতা। ক্ষমতাসীন বিজেপির সমালোচনায় মুখর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, আসামে এটা কী ধরনের রাজনীতি শুরু করেছে সরকার? কমপক্ষে এক কোটি নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।
‘এটা আর কিছুই নয়, বাঙালি হটানোর অভিযান। আসামে বসবাসরত বাঙালিদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত চলছে,’ অভিযোগ করেন তিনি। এ জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার সরকারকে দায়ী করে মমতা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় যে কোনো রাজ্যের মানুষ দেশের যে কোনো রাজ্যে থাকতে বা কাজ করতে পারেন। অন্য রাজ্যের প্রচুর মানুষ পশ্চিমবাংলায় থাকেন। অনেক বাঙালিও ভিন রাজ্যে আছেন।
‘আসাম ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কিছু লোক নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির জন্যই এটা করছে।’
ভোটার তালিকা থেকে বাঙালি মুসলিমদের নাম বাদ পড়ায় ক্ষুব্ধ মমতা কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাঙালিদের ওপর এ ধরনের অত্যাচার তৃণমূল কংগ্রেস সহ্য করবে না। আসামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে এর প্রভাব এ রাজ্যেও পড়বে। আমরা সীমান্ত বন্ধ করে দিতে পারি না। বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে দলীয় নেতাদের আন্দোলনে নামার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি।
২০১২ সালে আসামে দাঙ্গার উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, সেসময় আসাম থেকে অনেক অধিবাসী এ রাজ্যে পালিয়ে এসেছেন। আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। কোচবিহারে ৫০টি শিবির করে তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও করেছি।
‘আসামে বাঙালিদের ওপর হামলা হলে আমরা মুখে কুলুপ এঁটে থাকব না।’
কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারের ভাবা উচিত। আসামে বাঙালি খেদানোর চেষ্টা চলছে। যদি তাই হয়, দেশজুড়ে উত্তেজনা তৈরি হবে। উত্তেজনায় ইন্ধন দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। আগুন নিয়ে খেলবেন না। বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করুন। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।