Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ আদালতে শুরু

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০১৮, ৪:০১ পিএম

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজ ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ বিচারিক আদালতে শুরু হয়েছে। রাষ্ট্র পক্ষ মামলার বাদী আমিনুল ইসলামসহ ৯ জন সাক্ষীর হাজিরা দাখিল করেন। হত্যা মামলার ৫ আগামীকে আদালতে উপস্থিত করা হয়।
বুধবার সকাল ১১টায় টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক
প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া আদালতের এজলাসে আসন গ্রহণ করে প্রথমেই এএ চাঞ্চল্যকর মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। মামলার বাদী এসআই আমিনুল ইসলাম সাক্ষ্য প্রদানের জন্য সাক্ষীর কাঠগড়ায় আরোহণ করেন। এসময় আগামী পক্ষের নিয়োজিত আইনজীবী হারুন নামের এক আসামীর বয়স ১৭ মমে উল্লেখ করে পিটিশন এবং জন্ম সনদের ফটোকপি দাখিল করেন। পরে এই বিষয়ের উপরে যাচাই বাছাইয়ে জন্য রাষ্ট্রপক্ষ ও বাদীকে ২ ঘণ্টার সময় দিয়ে আদালত মুলতবি করেন। পরে দুপুর ১ টায় ট্রাইবুনালের বিচারক এজলাসে আরোহণ করে মামলার বিচার কাজ শুরু করে। পরে আসামী পক্ষের আনীত পিটিশনের বিষয়ে শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষ জন্মনিবন্ধন সনদটি সঠিক হয় বলে অভিহিত করে। পরে শুনানি শেষে আদালত আসামীদের পিটিশন খারিজ করে সাক্ষ্য গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করেন। পরে একে একে বাদী ও অন্যান্য সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট ২০১৭ বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে এবং বাসেই তাকে হত্যার পর টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে তার মৃত দেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা হিসেবে তার লাশ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন।
গত ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা প্রত্যেকেই আদালতে হাজির করা হয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ