বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল’কলেজের ছাত্রী রুপা খাতুনকে গণধর্ষণ ও হত্যার মামলায় আদালতে আজ মঙ্গলবার ৬ষ্ঠ বারের মতো ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার সাইদুর রহমানসহ ২জন সুরতহাল রিপোর্ট ও ১ জন জব্দ তালিকার পুলিশ সাক্ষীসহ ৪ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছে। এনিয়ে মামলার বাদীসহ ১৯ জনের আদালতে সাক্ষী ও জেরা সমাপ্ত হলো। আগামীকাল বুধবার মামলার আসামীদের ১৬৪ ধারা জবানবন্দি লিপিবদ্ধকারী ৪ ম্যাজিস্ট্রেট সাক্ষীর জন্য আদালত দিন ধার্য করেছে।
টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া দুপুর ১২ টায় এই চাঞ্চল্যকর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন।
প্রথমে নিহত রুপার ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার সাইদুর রহমান আদালতের কাঠগড়ায় সাক্ষ্য প্রদান করেন। তিনি তার সাক্ষীতে রুপার মৃত্যুর কারণ হিসেবে মাথায় আঘাত জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান এবং ধর্ষণের আলামতও পাওয়া গেছে।
পরে ঘণ্টাব্যাপী আসামী পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। পরে জব্দ তালিকার সুরতহাল রিপোর্টের সাক্ষী কিশোর, মান্নান ও ১ জন জব্দ তালিকার সাক্ষী মো. আব্দুল হান্নান সাক্ষ্য প্রদান করেন। পরে আসামীপক্ষের আইনজীবীগণ সাক্ষীদের জেরা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ পি.পি. এডভোকেট নাছিমুল আক্তার, রাষ্ট্রপক্ষে সহায়তা করেন মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী এস আকবর খান, মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট এম এ করিম মিয়া ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট শামীম চৌধুরী দয়াল ও এডভোকেট দেলুয়ার হোসেন। দুপুর ২টায় আদালতের কার্যক্রম মুলতবি হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
রুপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রুপাকে সনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) কে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছে তারা রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছে।
৩১ আগস্ট রুপার লাশ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তাড়াস উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।