পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১৬ বছরের ফিলিস্তিনি কিশোরী আহেদ তামিমি তার বাড়ির সামনে ইসরাইলি এক সৈন্যের গালে সপাটে চড় বসিয়ে দেয়। গ্রেফতারের পর সামরিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সে। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে সে এখন ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে এখন তার চড় মারার সেই ফুটেজ ভাইরাল হয়ে ঘুরছে।
ইসরাইলের বাম-ঘেঁষা দৈনিক হারেৎজ লিখেছে, ইসরাইল যদি আহেদ তামিমির বিচার নিয়ে বাড়াবাড়ি করে, তাহলে এই কিশোরী হয়তো ‘ফিলিস্তিনি জোয়ান আর্ক হয়ে উঠবে’।
অন্যদিকে দক্ষিণপন্থী ইসরাইলিরা সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করে লিখছে, কেন তারা ঐ ফিলিস্তিনি কিশোরীর মুখে পাল্টা চড় মারলো না।
ঘটনাটি ঘটে দু’সপ্তাহ আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরের নাবি সালেহ নামের একটি গ্রামে। বছরের পর বছর ধরে এই গ্রামের লোকজন প্রতি সপ্তাহে একদিন ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঐ বিক্ষোভের সময় ইসরাইলি সৈন্যদের সাথে আহেদ তামিমির ধাক্কাধাক্কি হচ্ছে। এক পর্যায়ে ঐ কিশোরী সপাটে চড় বসিয়ে দেয় এক সৈন্যের গালে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ঐ চড়ে ঐ সেনা সদস্যের ভ্রæ কেটে গেছে। আহেদ তামিমির বিরুদ্ধে বিনা প্ররোচণায় সহিংসতা এবং দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। সামরিক আদালতে সে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।
ইসরাইলে এ ধরনের অপরাধে একজন প্রাপ্তবয়স্কের ১০ বছরের সাজা হতে পারে। কিন্তু আইনজীবীরা বলছেন, কম বয়সের কারণে হয়তো লঘু সাজা হতে পারে এই কিশোরীর। তার বিচার নিয়ে যখন টানাহেঁচড়া চলছে, একটি চড় মেরে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের নতুন এক প্রতীক হয়ে উঠেছে ১৬ বছরের আহেদ তামিমি। ফিলিস্তিনিদের মধ্যে আলোচনা-বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে সে।
এই ধরনের দুঃসাহসিক কাজ এই কিশোরী আগেও করেছে। দু’বছর আগে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টার সময় সে ইসরাইলি সৈন্যের হাত কামড়ে দিয়েছিলো। তারও আগে ২০১২ সালে ইসরাইলি সৈন্যদের সাহসের সাথে মোকাবেলার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোয়ান তাকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে গিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। আহেদ তামিমির বয়স তখন ছিল মাত্র ১১ বছর। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।