পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি শুভপুর বাস টার্মিনাল লাগোয়া একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে ১০টি তাজা গ্রেনেড, ২টি সুইসাইডাল বেল্টসহ নব্য জেএমবির ২ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সোমবার মধ্যরাতে মিনু ভবনের ৫ম তলায় এ অভিযান চালায়। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান ও ডিবি পুলিশের এডিসি এএএম হুমায়ুন কবির দাবি করেন ওই জঙ্গিদের সদরঘাট থানায় আত্মঘাতি হামলার পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি ছিল। এ অভিযানের মধ্যদিয়ে থানায় আত্মঘাতি হামলা এবং পুলিশ সদস্যদের হত্যার পরিকল্পনা ভন্ডুল হয়ে গেছে। গতকাল (মঙ্গলবার) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযানের বিস্তারিত বর্ণনা দেন নগর পুলিশের কর্মকর্তারা। তবে এসময় সাংবাদিকদের ওই ২ যুবকের সাথে কথা বলতে দেয়া হয়নি।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ আশফাকুর রহমান ওরফে আবু মাহির আল বাঙ্গালী ওরফে রাসেল ওরফে সেলেবি তিতুশ (২২)। সে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার শিলাশী গ্রামের আনিছুর রহমানের পুত্র। অপরজন হলো মোঃ রাকিবুল হাসান ওরফে জনি ওরফে সালাহ উদ্দিন আয়ুবী ওরফে আবু তাইছির আল বাঙ্গালী ওরফে হাসান (১৯)। সে কুমিল্লার মুরাদনগর থানার কোদাল কাটা গ্রামের মোঃ জসিম উদ্দিনের পুত্র। নগরীর সদরঘাট থানার পশ্চিম মাদারবাড়ি বালুর মাঠ সংলগ্ন পোর্ট সিটি হাউজিং সোসাইটির মিনু ভবনের ৫ম তলার একটি ব্যাচেলর বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ওই বাসা থেকে কালো স্কেচ টেপ মোড়ানো দেশীয় তৈরী অবিস্ফোরিত ১০টি তাজা গ্রেনেড। একটি ‘টার্গেট-১’ লেখা স্কেচম্যাপ, যাতে সদরঘাট থানাকে আক্রমনের মুল টার্গেট হিসেবে তৈরি করা, একটি ‘ঞ-১’ লেখা স্কেচম্যাপ, যাতে সদরঘাট থানাকে টার্গেট করে কাল ও লাল কালিতে চিহ্নিত করা হয়েছে, দুইটি নেভী বøু কালারের কাপড়ের কোমড়ের মোটা বেল্ট, ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এডিসি হুমায়ুন কবির জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে তাদের কথিত আমির ‘ডনের’ নির্দেশে চট্টগ্রাম শহরে পুলিশের স্থাপনা টার্গেট করে নাশকতার পরিকল্পনা করা হয়। এ লক্ষ্যে জনৈক মিসবাহ’র মাধ্যমে প্রায় দুইমাস পূর্বে উক্ত কক্ষটি বাসা হিসেবে ভাড়া নেয়া হয়। বাসা ভাড়া নেয়ার পর তারা নিয়মিত বাসায় অবস্থান না করে সারাদেশের মতো চট্টগ্রাম শহরেও আত্মঘাতি হামলার জন্য বিভিন্ন স্থাপনা নিরীক্ষা পূর্বক সদরঘাট থানাকে টার্গেট করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী থানায় হামলা করার উদ্দেশে থানার স্কেচম্যাপ তৈরি করে এবং হামলার অনুমতি চেয়ে ডনের কাছে তার কপিও প্রেরণ করে। আত্মঘাতি হামলা করার জন্যই যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে সোমবার রাতে তারা ওই বাসায় অবস্থান করে বলে জানায় হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, এসব জঙ্গিরা পুলিশ বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেয়ার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, আঘাত ও আক্রমণ করে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে আতœঘাতি বোমা হামলার পরিকল্পনা করে বোমা মজুত রাখে। তাদের বিরুদ্ধে সদরঘাট থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। নব্য জেএমবির অন্য সদস্যদের ধরতে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত নিষিদ্ধ হওয়ার পর জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মোজাহেদীন বাংলাদেশ- জেএমবির সদস্যদের একাংশ নব্য জেএমবি নামে জঙ্গি তৎপরতা শুরু করে বলে দাবি করেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
সাত দিনের রিমান্ড
নব্য জেএমবির দুই সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু ছালেম মো. নোমান রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল বিকেলে এ আদেশ দেন। পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে শুনানি শেষে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জামিন আবেদনে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, দু’জন তাদের আমির হিসেবে ডন নামে এক ব্যক্তির নাম বলেছে। তাকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করা পাশাপাশি চট্টগ্রামে আরও কারা জড়িত তাদের শনাক্ত করা, বোমার উৎস, অর্থের জোগানদাতা এবং আন্তর্জাতিক কোনো জঙ্গির সাথে যোগসাজশ আছে কিনা- তা জানতে রিমান্ড প্রয়োজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।