পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের আসাম রাজ্যে সোমবার বহু প্রতীক্ষিত জাতীয় নাগরিক নিবন্ধনের ( ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস বা এনআরসি) খসড়া প্রকাশিত হয়েছে। এতে ভারতের বৈধ নাগরিকের স্বীকৃতি লাভের জন্য ৩ কোটি ২৯ লাখ আবেদনকারীর মধ্যে ১ কোটি ৯০ লাখ লোকের নাম রয়েছে।ভারতের রেজিস্টার জেনারেল (আরজিআই) শৈলেশ কুমার রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে এক সংবাদ সম্মেলনে খসড়া তালিকা প্রকাশ করে বলেন, বাকি নামগুলো যাচাইয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, এটা হচ্ছে খসড়ার একটি অংশ।
এখানে এখন পর্যন্ত যাচাইকৃত ১ কোটি ৯০ লাখ লোকের নাম আছে। বাকি নামগুলো যাচাই করা হচ্ছে। তা সম্পন্ন হওয়া মাত্র অবশিষ্ট নামের তালিকা আরেকটি খসড়ায় প্রকাশ করা হবে। এনআরসির রাজ্য সমন্বয়কারী প্রতীক হাজেলা বলেন, যে সব লোকের নাম প্রথম তালিকায় নেই তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, নাম যাচাই করা এক ক্লান্তিকর প্রক্রিয়া। সুতরাং একই পরিবারের কারো কারো নাম প্রথমবারের খসড়ায় নাও থাকতে পারে। বাকি কাগজপত্র যাচাই করা হচ্ছে, সে জন্য শংকিত হওয়ার দরকার নেই। পরবতী খসড়া প্রকাশের সম্ভাব্য সময়সীমা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে আরজিআই বলেন,যাদের মনিটরিংয়ে এ দলিল তৈরি করা হচ্ছে সেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে এপ্রিলে। শৈলেশ কুমার বলেন, গোটা প্রক্রিয়াটি ২০১৮ সালে মধ্যে সম্পন্ন হবে। ২০১৫ সালের মে মাসে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সমগ্র আসামে ৬৮ লাাখ ২৭ হাজার পরিবারের কাছ সর্বমোট সাড়ে ৬ কোটি দলিলাদি পাওয়া গেছে। হাজলা বলেন, চ‚ড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর অভিযোগ গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। বাকিদের নাম তাতে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে আসাম ব্যাপী এনআরসি সেবা কেন্দ্রগুলো থেকে মানুষ প্রথম খসড়ায় তাদের নাম আছে কিনা যাচাই করতে পারবে। অনলাইন ও এসএমএস সার্ভিসের মাধ্যমেও তারা তথ্য পররীক্ষা করতে পারবে।
আরজিআই বলেন, এই বিরাট প্রক্রিয়ার মূল কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে। গত তিন বছরে সুপ্রিম কোর্টে ৪০ বার শুনানি হয়েছে।
উল্øেখ্য, আসামে বিশ শতকের গোড়া থেকে অভিবাসী আসা শুরু হয়। ভারতে এটাই একমাত্র রাজ্য যেখানে এনআ্রসি রয়েছে যা ১৯৫১ সালে প্রথম তৈরি হয়।
গোটা প্রক্রিয়া তদারককারী সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দেয় যে, ২ কোটিরও বেশি আবেদন যাচাই-বাছাই করে এনআরসির প্রথম তালিকা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। তাদের মথ্যে ৩৮ লাখ লোকের কাগজপত্র নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, আসামে বাংলাদেশি খুঁজে বের করতেই ্এনআরসির এ উদ্যোগ শুরু হয়। তবে ১৯৭১-এর পর আসামে আসা বাঙালি সংখ্যা নগণ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।