Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বগুড়ায় গ্রেফতার ভারতের খাগড়াগড় বোমা হামলার হোতা জেএমবি নেতা সাঈদ

নব্য জেএমবির ৫ সদস্যের শুরা বোর্ডের অন্যতম সদস্য

| প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


বিশেষ সংবাদদাতা, বগুড়া ব্যুরো : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বোমা হামলার অন্যতম আসামী, ভারত বাংলাদেশে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে মোস্ট ওয়ানটেড নব্য জেএমবি’র ৫ সদস্যের শুরা বোর্ডের অন্যতম সদস্য আবু সাঈদ ওরফে করিম ওরফে শ্যামলকে বিদেশেী পিস্তল, গুলি, চাকুসহ গ্রেফতার করেছে বগুড়ার পুলিশ। গত শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টায় বগুড়ার নন্দিগ্রাম উপজেলার ওমরপুর বাজার থেকে তাকে গ্রেফতারের পর গতকাল শনিবার তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেছে। এব্যাপারে গতকাল শনিবার দুপুরে বগুড়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এ বগুড়ার পুলিশ
সুপার ও অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ আসাদুজ্জামান গ্রেফতার কৃত জঙ্গীনেতার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে জানান, সে সাইদ বা শ্যামল ছাড়াও আঃ করিম, তৈয়ব , হোসাইন , সাজিদ, সাকিল, ডেঞ্জার ,সাকিল , মোকলেছ ও শফিক নামে সাংগঠনিক ও দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল ।
গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে একটি ৯ এম এম পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলি, মিলিটারি ( বার্মিজ চাকু ) ও একটি নম্বর বিহীন মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার চর চাঁদপুর গ্রামের শহীদুল্লাহ শেখের ছেলে এই জঙ্গী নেতা ২০০২ সালে জেএমবিতে যোগদান করে এবং ২০০৪ সালে রাজশাহী জেলার সামরিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব লাভ করে । ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট পরিচালিত সিরিজ বোমা হামলার নওগাঁ জেলায় যে ৫টি বোমা বিষ্ফোরিত হয় সেটি পরিচালিত হয় তারই নেতৃত্বে । নওগাঁর আদালতেই একটি বিষ্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তার মৃত্যুদন্ডও হয় । এরপর ২০০৭ সালে সে ভারতে পালিয়ে যায় । ২০০৯ সালে মুর্শিদাবাদ জেলার জেএমবি সদস্য ইয়াদুলের মেয়ে খাদিজাকে বিয়ে করে সেখানেই জেএমবির কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে এবং দ্রæতই মুর্শিদাবাদ , নদীয়া ও বর্ধমান জেলার দায়িত্ব লাভ করে। ২০১৪ সালে ভারতের বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বহুল আলোচিত বোমা বিেেষ্ফারণেরও মুল হোতা ছিল এই জঙ্গী নেতা। সেখানকার আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগপত্র দাখিলের পর ভারতের ( ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি ) এনআইএ মোস্ট ওয়ান্টেড হিসেবে তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ লাখ রুপি পুরষ্কার ঘোষনা করে । ফলে পুনরায় ২০১৫ সালে সে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে এবং যোগ দেয় নব্য জেএমবিতে। নব্য জেএমবিতে যোগ দেওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই নব্য জেএমবির ৫ সদস্যের শুরা বোর্ডের অন্যতম সদস্য হিসেবে মনোনিত হয় সে । তার এই গ্রেফতার নব্য জেএমবির জন্য বড় ধরনের ধাক্কা বলেও উল্লেখ করেণ বগুড়ার পুলিশ সুপার । উল্লেখ্য এক মাস আগে বগুড়ায় তার স্ত্রী খাদিজাও সন্তানসহ গ্রেফতার হয় পুলিশের হাতে ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেফতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ