বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মীরসরাই (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : অবশেষে দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক জোন মীরসরাই উপজেলার ইছাখালীর অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২টি প্রকল্পের অনুমোদন সম্পন্ন হবার তথ্য জানা গেছে। বেজা চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী এই বিষয়ে জানান, মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) ২টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। উক্ত দুটি প্রকল্প যথাক্রমে তিনটি শিল্প গ্রুপের সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টিয়াম ‘এসবিজি ইকনোমিক জোনকে’ মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫৫০ একর ভূমি বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেজা। এসময় বেজা কার্যালয়ে কনসোর্টিয়ামের এমডি মাহবুবুর রহমান ও বেজার নির্বাহী সদস্য এমদাদুল হক এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তিনি জানান, সিকদার গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ ও গ্যাসমিন লিমিটেড এই কনসোর্টিয়াম গঠন করেছে। এছাড়া অপর অনুমোদিত অপর শুভ সংবাদ হলো বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য মীরসরাই ইকোনোমিক জোনের জন্য হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছে একনেক। উক্ত প্রকল্পে মীরসরাইয়ের উক্ত অর্থনৈতিক জোন এলাকায় ১৫০ মেগাওয়াটের ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এর জন্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। এছাড়া একনেক মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে সঞ্চালন অবকাঠামো প্রকল্প এর ব্যয়ের জন্য ৩২৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
বেজা জানায় এককালীন ৪০ কোটি টাকার বিনিময়ে (৫০ বছরের জন্য) মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল-১ এ ৫৫০ একর ভূমি পেয়েছে এসবিজি কনসোর্টিয়াম। এর বাইরে রয়েছে সাড়ে চার শতাংশ রেভিনিউ শেয়ারিং এবং সার্ভিস চার্জ। কনসোর্টিয়ামের এমডি মাহবুব রহমান বলেন, জানুয়ারি থেকে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাটি ভরাট শুরু হবে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক কোম্পানি সেমকর্পের অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তারা এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটি প্রতিষ্ঠা করবেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিজ্ঞতা রয়েছে সেমকর্পের। এক একর থেকে ২০ একর জমি নিয়ে যারা শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী হবে তাদেরকে এখানে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী আরো জানান, একটি প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট এসবিজি কনসোর্টিয়ামকে প্রাথমিক সম্মতিপত্র দেওয়া হয়েছিল। এরপর বিভিন্ন ধাপ পার হয়ে তারা চূড়ান্ত বরাদ্ধ পেল। প্রতিযোগিতার কারণে বেজার প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ভূমি মূল্য পাওয়ার কথা তুলে ধরে পবন চৌধুরী বলেন, “৫০ বছরের জন্য প্রতি স্কয়ারমিটার ৩০ সেন্ট করে জমি দেওয়ার টার্গেট ছিল বেজার। কিন্তু এখানে প্রতি স্কয়ার মিটার ৪৫ সেন্ট হারে ভূমি বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি মূল্যে জমি নিয়েছে।” পবন চৌধুরী বলেন, মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলকে পিপিপির ভিত্তিতে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা বাধার কারণে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি আসেনি। তবে সেই কাজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মীরসরাইয়ে ভালো ফলাফল আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। মীরসরাইতে বেজা অনেক কাজ এগিয়ে দিয়েছে বলেও জানান পবন চৌধুরী । “এখানে ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে। একটা পাওয়ার সাব স্টেশন করে দেওয়া হয়েছে। ১৪টি টিউবওয়েল, পরিকল্পনা মতো ওয়াটার রিজার্ভার করা হয়েছে। ব্র্যাক ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংক ইতোমধ্যেই মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে এগিয়ে এসেছে।” মঙ্গলবার চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিনিধি নাঈম চৌধুরী, শিকদার গ্রুপের এমডি রন হক সিকদার ও গ্যাসমিন গ্রুপে এমডি মাহবুব রহমান উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।