Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পদ্মাসেতু ও অর্থনৈতিক জোনে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ১ হাজার ২৫১ কোটি টাকার প্রকল্প॥

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একনেকের বৈঠক

প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : নির্মাণাধীন পদ্মাসেতু ও অর্থনৈতিক জোনের কারণে বিপুল বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হচ্ছে সেতুর ওপারের জেলাগুলোতে। এ চাহিদা মেটাতে ১ হাজার ২৫০ কোটি ৮৫ লাখ টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের উৎপাদন ও চাহিদা বৃদ্ধির জন্য বর্তমানে স্থাপিত বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার ক্ষমতা বৃদ্ধিকরণে ওয়েস্ট জোন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও আপগ্রেডেশন শীর্ষক এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এটিসহ ৫টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। পরে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান। তিনি জানান, অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২ হাজার ৩৫৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৯৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা যোগান দেওয়া হবে।
ওয়েস্ট জোন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও আপগ্রেডেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৭৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলা এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বাস্তবায়িত হবে প্রকল্পটি।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ৬৭৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে থ্রি-জি প্রযুক্তি চালুকরণ ও ২ দশমিক ৫জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (ফেজ-২) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। থ্রি জি প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, থ্রি-জি প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ও চালুকরণের জন্য ১২০০টি নোডবি বেজ স্টেশন (টাওয়ার) স্থাপন, ২ দশমিক ৫ জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য ৫০০টি বিটিএস (টাওয়ার) স্থাপন, আনুষঙ্গিক ট্রান্সমিশন যন্ত্রপাতিসহ আইপি নেটওয়ার্ক ও কোর নেটওয়ার্ক স্থাপন। থ্রি-জি প্রযুক্তি চালুকরণ ও ২ দশমিক ৫ জি নেটওয়ার্ক প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে থ্রি-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হবে।
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে ৩২৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নর্থ বেঙ্গল চিনিকলে কো-জেনারেশন পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সুগার রিফাইনারি স্থাপন প্রকল্প, ১১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বানিয়াচং-আজমিরিগঞ্জ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প এবং ৬০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে টেকনাফ-রামু-গ্যারিসন-মরিচ্যা-পালং সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিভ্রান্তির সুযোগ নেই। চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং আগামী অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবেই। এখানে কোনো কম হবে না।
মন্ত্রী বলেন, আমেরিকার সঙ্গে তুলনা করলে হবে না। আমেরিকার প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী; আমাদের প্রবৃদ্ধি উচ্চমুখী। আমাদের সরকার আমলে ৫ বছরে গড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে এটা পৃথিবীর কোথাও হয়নি।
তিনি বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগ গত ৬ মাসে বেড়েছে। অর্থনীতির সব সূচকও বেড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম, আইএমইডির সচিব ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পদ্মাসেতু ও অর্থনৈতিক জোনে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ১ হাজার ২৫১ কোটি টাকার প্রকল্প॥
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ