Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গ্রামের স্বাস্থ্যসেবায় নজর চাই

গ্রামাঞ্চলে বেশিরভাগ মানুষ এখনও দরিদ্র। তারা চিকিৎসার জন্য ভরসা রাখে গ্রামের সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর ওপর। কিন্তু সেখানে ওষুধ মেলে না। কর্তব্যরত চিকিৎসক নানা ধরনের অজুহাত দেখিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেন; কিন্তু পরে সরকারি এসব ওষুধই পাওয়া যায় ফার্মেসিগুলোতে।
শামীম শিকদার
কাপাসিয়া, গাজীপুর

বেকারত্ব ঘোচাতে জোর দিন
বর্তমান বিশ্বে প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই নিজস্ব ওয়েবসাইট প্রকাশ করছে। শুধু তাই নয়, অনেক ব্যক্তিও তার নিজের নামে ওয়েবসাইট বের করছেন। কেউ যদি সঠিকভাবে ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারেন, তাহলে দেশ-বিদেশে অনেক কাজের সুযোগ পাবেন। এ দেশে এখন বিশ্বমানের দক্ষ ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপার আছেন, যারা বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন এ দেশে বসেই। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রাও উপার্জন হচ্ছে। তাই যারা বেকার আছেন, তাদের উচিত হবে এভাবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে হলে অবশ্যই বিকল্প কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে হবে এবং সবাইকে স্বাবলম্বী হতে হবে।
মো. আরিফুর রহমান সুমন
সাভার, ঢাকা

দখল ও দূষণের কবলে করতোয়া
দখল ও দূষণের কবলে পড়ে বগুড়ার করতোয়া নদী এখন প্রাণহীন। এক সময় এই করতোয়া নদীর তীর ঘেঁষে প্রাচীন পুÐ্রনগরের গোড়াপত্তন হয়েছিল। স্বাধীনতার পর থেকেই করতোয়া নদীর দখল শুরু হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে করতোয়া নদী দখল হতে হতে প্রায় ২০০ কিলোমিটারের নদীটি এখন ছোট হয়ে ১০০ কিলোমিটারে রূপ নিয়েছে। পলি পড়ে ভরাট হলেও নদীটির নাব্যতা রক্ষায় কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। নদীর পাড় দখল করে বাঁধ দিয়ে অস্থায়ীভাবে মাছ চাষ করা হচ্ছে। দুই পাড় ঘেঁষে প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেছে। শিল্প-কারখানার বর্জ্যে নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। নদীর পাড় দখল করে চাষাবাদ করা হচ্ছে। হরহামেশা নদীতে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। নদীর সঙ্গে সংযোগ থাকা ছোট ছোট নালা দিয়ে কল-কারখানা ও অন্যান্য বর্জ্য এসে জমা হচ্ছে নদীতে। বালু উত্তোলনসহ এর দুই পাড় দখল হওয়ায় নদীটি এখন খালে পরিণত হয়েছে। নামে-বেনামে নদীর তীর সময়-সুযোগমতো প্রভাবশালীরা দখল করে নিচ্ছে। কার্যকর উদ্যোগের অভাবে অচিরেই নদীটি দখল-দূষণের জাঁতাকলে পড়ে হারিয়ে যাবে। তাই যত দ্রæত সম্ভব নদীর দুই পাশের সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, এতে যে কোনো ধরনের বর্জ্য ফেলা বন্ধ এবং নদীর দু›পাশজুড়ে হাঁটাচলার রাস্তা নির্মাণ করে নদীকে বাঁচাতে হবে। এ ছাড়া নদী-তীরবর্তী জনসাধারণের মধ্যে নদী রক্ষার ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এ ব্যাপারে সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সাধন সরকার
শিক্ষার্থী, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন