Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রিয়নবীজীর (সা.) ধৈর্য্য ও ক্ষমা

মাওলানা সাদিক আহমদ | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


\ দুই \
এমনকি তাঁদেরকে বাস্তুভিটাচ্যুত করেছে। অবশেষে মুসলমানরা তাঁদের প্রিয়জন্মভূমি মক্কা ছেড়ে মদীনায় চলে যেতে বাধ্য হন। কিন্তু মক্কাবিজয়ের পর ইসলামের দুশমনেরা সম্পূর্ণভাবে মহানবী সা. এর দয়া ও কৃপার পাত্র হয়ে পড়ে। প্রিয়নবী সা. এদেরকে হাতের নাগালে পেয়েও কোন ধরণের প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। বরং এদেরকে ক্ষমা করে দিলেন। ফলে মহানবী সা.এর এ উদারতায় মুগ্ধ হয়ে মক্কার কাফেররা দলে দলে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে অংশ গ্রহণ করে।
একবার জনৈক বেদুঈন এসে রাসূলুল্লাহ সা. এর চাদর ধরে সজোরে টান মারে। ফলে তাঁর ঘারে ক্ষত হয়ে যায়। অত:পর বেদুঈন বললো: আমার এই উটগুলোকে খাদ্যশস্যে বোঝাই করে দাও। তুমি তোমার নিজের মাল অথবা তোমার বাপের মাল থেকে দাও না (বায়তুলমালের সবকিছু আমাদের-তোমার নয়)। রাসূলুল্লাহ সা. বললেন : এ চাদর টানার বদলা না নেওয়া পর্যন্ত আমি তোমাকে খাদ্যশস্য দিব না। সে বলল : আল্লাহর কসম আমি বদলা দেব না। হুজুর সা. হাসতে হাসতে তার উট বোঝাই করিয়ে দিলেন। -খাসায়েলে নবভী, সূত্র : প্রাগুক্ত, পৃ: ৬৭
একদা নবীকরীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি বৃক্ষের নীচে বিশ্রাম করছিলেন। তাঁর তরবারিটি বৃক্ষের ডালে ঝুলানো ছিলো। এমন সময় একজন শত্রæ এ দৃশ্য দেখে মৃদুপায়ে তথায় এসে তরবারিটি হাতে নিয়ে নবীকরীম সা.কে ডেকে বললো : হে মুহাম্মদ ! এখন আমার হাত থেকে তোমাকে কে রক্ষা করবে ? প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চক্ষু মেলিয়া বললেন, আমাকে আল্লাহতা’য়ালা রক্ষা করবেন। মহান আল্লাহ তা’য়ালার নাম শুনামাত্র লোকটি ভয়ে কাঁপতে লাগলো এবং তরবারিটি তার হাত থেকে পড়ে গেলো। তখন নবীকরীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওঠে দাঁড়ালেন এবং তরবারিটি হাতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, এখন তোমাকে আমার হাত থেকে কে রক্ষা করবে ? সে কোন উপায়ান্তর না দেখে নবীজীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলো। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ক্ষমা করে দিলেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রিয়নবী সা.
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ