২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
মেয়েদের দুইটি ডিম্বাশয় থাকে। সেখানেই টিউমার হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে কিন্তু ডিম্বাশয়ে টিউমার হবার কোন সম্ভাবনাই থাকেনা কারণ ছেলেদের দুইটি শুক্রাশয় বা টেসটিস থাকে। ডিম্বাশয় বা ওভারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওভারি থেকেই ওভাম বা ডিম উৎপন্ন হয় যা শুক্রাণুর সাথে মিলিত হয়ে একপর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ বাচ্চা তৈরি হয়।
ওভারিতে বা ডিম্বাশয়ে টিউমার হলে বিভিন্ন উপসগ দেখা যায়।এর মধ্যে আছে-
১। তল পেটে ব্যথা।
২। বারবার প্রস্রাব হওয়া।
৩। প্রস্রাব আটকে যাওয়া।
৪। যৌন মিলনের সময় তলপেটে ব্যথা।
৫। হজমে সমস্যা।
৬। কোমরের পেছনের দিকে ব্যথা।
সবার যে একই রকম সমস্যা হবে তা নয়। একেক জনের ক্ষেত্রে একেকরকম সমস্যা হয়। আবার যদি টিউমার ছোট হয় তবে কোন সমস্যা নাও থাকতে পারে।
ডিম্বাশয়ে টিউমার কিন্তু বিভিন্ন সমস্যা করতে পারে। পেলভিসে টিউমার থাকলে প্রসব বাধাগ্রস্থ হয়। টিউমার পেঁচিয়ে গেলে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। এটি জরুরি অবস্থা। দ্রæত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে। টিউমারের ভেতরে রক্তক্ষরণও কিন্তু হতে পারে। আবার টিউমার ফেটে গিয়ে জটিল অবস্থা তৈরি হয়। টিউমার বাড়তে থাকলে উপসর্গও তত বেশী হয়। বমিভাব, বমি, ওজন কমে যাওয়া। শ্বাসকষ্ট, দূর্বলতা ইত্যাদি শুরু হয়।
ভালভাবে ইতিহাস নিয়ে এবং পরীক্ষা করে অনেকটাই ওভারিয়ান টিউমার ডায়াগনসিস করা যায়। তবে নিশ্চিত হবার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফি, রক্তের পরীক্ষা এবং বায়োপসি করা হয়।
ডিম্বাশয়ে টিউমার চিকিৎসায় সার্জারি, রেডিওথেরাপী এবং কেমোথেরাপী ব্যবহৃত হয়। কার জন্য কোনটি উপযুক্ত তা একজন যোগ্য চিকিৎসকই ঠিক করবেন।
ডিম্বাশয়ে টিউমার খুব পরিচিত। তলপেটে ব্যথা, অস্বস্তি বা গোটা দেখা দিলে দ্রæত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। তাহলেই বিপদ এড়ানো সম্ভব।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির ভূঁইয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।