পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তির কথা বলে দেশের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, যারা সেদিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধ করেছিল তারা মুক্তিযোদ্ধা।
কিন্তু যারা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সীমানা পার হয়ে, লাফ দিয়ে অন্য দেশে গিয়েছিল কাপুরুষের মতো তারাও কি মুক্তিযোদ্ধা? আজকে সাহস করে আমাদের এই প্রশ্ন করতে হবে। গতকাল (শনিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ ও শহীদ জিয়া শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম এ সভার আয়োজন করে।
মঈন খান বলেন, যে দলটি (বিএনপি) স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জন্মই হয়নি সে দলটি কীভাবে স্বাধীনতাবিরোধী হয়। যে দলের প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান, সে দলকে তারা (আওয়ামী লীগ) কীভাবে বলে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি? সেদিন বিএনপি নামে কেউ তো ছিল না। ৭৫ সালের ঘটনার সেই সাইকোলজিতে কেন তারা বিএনপিকে শত্রæ হিসেবে ভাবে? এর কারণ হলো আওয়ামী লীগের একটি সমস্যা হয়েছে, সে সমস্যাটির নাম হীনমন্যতাবোধ।
তিনি বলেন, তাদের (আওয়ামী লীগের) এ হীনমন্যতাবোধের কারণ হলো, তারা দিনের বেলায় মিডিয়া টেলিভিশনে যায়-ই বলুক না কেন, রাতে চিন্তা করে যে, তারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে বীরের মতো সামনে না গিয়ে কাপুরুষের মতো পালিয়েছিল। সে কারণেই তারা বিএনপিকে সহ্য করতে পারে না। ‘তারা এটা করার কারণ হচ্ছে, বিশ্বে যখন ঔপনিবেশিকতা বিস্তার করেছিল কয়েক শতাব্দী ধরে তখন এ ঔপনিবেশিক শক্তিরা বিভিন্ন দেশে খবরদারি করতো। তখন তারা একটি অস্ত্র ব্যবহার করতো, সে অস্ত্রের নাম ডিভাইড অ্যান্ড রুল। অর্থাৎ বিভাজন। তারা সেখানকার জনগণকে দুই-তিনটি ভাগে ভাগ করে দুর্বল করে দিত, যাতে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঔপনিবেশিক শক্তিকে প্রতিহত করে স্বাধীনতা অর্জন না করতে পারে। দুঃখের বিষয় আজকে একটি স্বাধীন দেশের সরকার নিজেদের কার্যক্রম দিয়ে প্রমাণ করেছে তারা ওই ঔপনিবেশিক শক্তির প্রতিনিধি। তারা (সরকার) তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য সেই ডিভাইড অ্যান্ড রুল অনুসরণ করছে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটর সাংগঠনিক সম্পাদক সামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের প্রচার সম্পাদক লায়ন সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজ আব্বাস, বিএনপির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবদীন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।