পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নূরুল ইসলাম : জানুয়ারীর ১ তারিখ থেকে ইন্টারনেট অ্যাপে চলবে সিএনজি অটোরিকশা। উবার ও পাঠাওয়ের সাথে নতুন করে যুক্ত হবে সিএনজি অটোরিকশা। অ্যাপে রিকোয়েস্ট দিয়ে যেমন সিএনজি মিলবে তেমনি অ্যাপ ছাড়া শুধু চালকের মোবাইল ব্যবহার করে চলাচল করা যাবে। এজন্য দুই হাজার স্মার্টফোন চালকের হাতে তুলে দিয়ে এ সেবা শুরু করতে যাচ্ছে করবে গতি- লেটস গো নামের অ্যাপ। এই অ্যাপের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনআই বিআইজেড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে সিএনজি ব্যবসায়ী মালিক সমিতি ও ঢাকা জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বলছেন, সিএনজি অটোরিকশা চলাচলের জন্য পৃথক নীতিমালা আছে। এটাকে পাশ কাটিয়ে কেউই সিএনজিকে অ্যাপে চালাতে পারবে না।
সূত্র জানায়, অন দ্যা গো- যাদের কাছে অ্যাপস নেই তারাও অ্যাপভিত্তিক সেবাটি ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যাত্রীর মোবাইলের প্রয়োজন নেই। চালক তার মোবাইলে একটি যাত্রা স্টার্ট দিলেই মিটারের মতো কাজ করবে। এনআইবিআইজেড এর একজন কর্মকর্তা বলেন, সিএনজি অটোরিকশা চালকদের যে মোবাইল ফোন দেওয়া হবে সেগুলোকে শুধু গতি অ্যাপসের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়ার চিন্তা- ভাবনা করছেন তারা। যাতে সেখানে অন্য কোনো অ্যাপ না চলে। সেক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো বিবেচনা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, সিএনজি অটোরিকশার মালিককে মূলত একটি মোবাইল ফোন দেওয়া হবে। কারণ একজন মালিকের একাধিক সিএনজি রয়েছে। আবার একটি সিএনজি ২ থেকে ৩ জন চালক চালান। যখন যে চালাবে তার আইডি লগইন করে চালাতে পারবে। আর সিএনজি মালিক অ্যাপটির ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজস্ব আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে ঢুকে দেখতে পারবে কতটি ট্রিপ কোথায় কোথায় হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে এ সংক্রান্ত রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রেজিস্ট্রেশন শেষে আগামী ১ জানুয়ারী থেকেই তিন হাজারের বেশি সিএনজি অটোরিকশা অ্যাপে চলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষ করে ১ জানুয়ারি ৩ হাজারের বেশি সিএনজি অটোরিকশা অ্যাপে ছাড়ার ইচ্ছা তাদের। তবে সিএনজি অটোরিকশা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি বরকত উল্লাহ বুলু গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, সিএনজি অটোরিকশা পরিচালনার জন্য সরকারের সার্ভিস নীতিমালা আছে। ওই নীতিমালা লঙ্ঘন করে সিএনজি অটোরিকশাকে কোনোভাবেই অ্যাপে চালানো যাবে না। ১ জানুয়ারী থেকে সিএনজি অটোরিকশা অ্যাপে যাচ্ছে এ সম্পর্কে সিএনজি মালিক সমিতির এই নেতা পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, কারা কিভাবে সিএনজিকে অ্যাপে চালাবে তা আমি জানি না। সরকারের নীতিমালা অমান্য করে তারা কিভাবে অ্যাপে চালাবে? ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন এ প্রসঙ্গে গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, অ্যাপে সিএনজি অটোরিকশা চললে ভালই হতো। কিন্তু তা কখনও সম্ভব নয়। এর কারন হিসাবে তিনি বলেন, প্রথমত: সিএনজি অটোরিকশার জন্য পৃথক নীতিমালা থাকায় নতুন করে অনুমোদন নিতে হবে। দ্বিতীয়ত: সিএনজি অটোরিকশাগুলোর লাইফটাইম শেষ হয়ে গেছে। এগুলো অ্যাপে চলতে গিয়ে প্রায়ই বিকল হয়ে পড়বে। অ্যাপে চললে অ্যাপ পরিচালনাকারী কোম্পানীকে প্রতিদিন ১শ’ টাকা করে দিতে হবে। এর বাইরে মালিকের জমা উঠাতে গিয়ে চালকদের হিমশিম খেতে হবে। সবমিলে এটাকে অ্যাপে পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
এদিকে, এনআইবিআইজেড-এর একজন কর্মকর্তা জানান, সিএনজি চালকদের অ্যাপে নিয়ে আসতে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেগুলো বিবেচনা করইে তারা এগুচ্ছেন। শুরুতে সিএনজি চালক আর মালিকদের বহু সমিতি দেখে পরে পৃথকভাবে মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই অ্যাপ সেবার কথা তুলে ধরেন তারা। এতেই মালিকপক্ষ রাজি হয়। তবে রাইড শেয়ারিং যে নীতিমালা করছে সরকার সেখানে সর্বশেষ খসড়ায় সিএনজি অটোরিকশাকে অ্যাপ সেবার বাইরে রাখার বিধান যুক্ত করা হয়। যদিও সরকার নির্ধারিত মিটার বহুদিন ধরেই কার্যত অচল।
এ প্রসঙ্গে কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা বললে তারা অ্যাপে সিএনজি অটোরিকশা চালু হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, সিএনজি অটোরিকশা মানেই হয়রানি। মিটারে যাবো না অথবা মিটার নষ্ট, ওদিকে যাবো না-এমনি কতো অজুহাত চালকদের। পিকআওয়ারে ডাবল ভাড়া চাইতেও দ্বিধা করে না চালকরা। এজন্য অ্যাপ সেবা চালু হলে মানুষ উপকৃত হবে।
মিরপুরের বাসিন্দা একটি সরকারী ব্যাংকের কর্মকর্তা হাসনা হেনা বলেন, এখনতো উবারের সেবার মান বেশ ভালো। অল্প দিনেই অ্যাপভিত্তিক এই সেবা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সিএনজি অ্যাপে চললে মানুষ অনেকটা হাফ ছেড়ে বাঁচবে। যাত্রী হয়রানী কমবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।