বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বেনাপোল অফিস : তুলাক্ষেতে সাথী ফসল চাষ করে লাভবান হচ্ছে সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শার চাষিরা। যশোরের শার্শায় এবার তুলার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ বছর বীজ বপণের সময় অতি বৃষ্টির কারণে তুলা উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলেও চাষিরা তুলার সাথে সাথী ফসল হিসেবে সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর অতি বর্ষণের কারণে তুলা চাষ কিছুটা কম হলেও ফলনের ব্যাপারে চাষিরা এবার অধিক লাভবান হওয়ার আশা করছেন। শার্শা উপজেলা কর্টন ইউনিট অফিসার মীর শহিদুল ইসলাম বলেন, শার্শা উপজেলা তুলা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। ফলনও হয় আশানুরূপ। এ বছর শার্শায় ২শ’ ৪০ একর জমিতে তুলা চাষ হয়েছে। গত বছর চাষ হয়েছিল ২শ’ ৬৭ একর। গত বছরের তুলনায় এ বছর তুলা চাষ কিছুটা কম হয়েছে। কারণ বীজ বপণের সময় জুলাই/আগস্ট মাসে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। এতে বপণকৃত তুলা জমিতে পানি জমে চারা নষ্ট হয়ে যায়। ওই সব জমিতে তুলা চাষিরা পুনরায় তুলা বীজ বপণ করতে পারেননি। বর্তমানে যে সকল জমিতে তুলা আছে খুবই ভাল অবস্থায় আছে। তবে স্থানীয় চাষি ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছর শীত দেরিতে আসলে তুলার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আগাম শীত হলে ফলনে মারাত্মক প্রভাব পড়তো। উপজেলার মাটিপুকুর, জিরেনগাছা, বেনাপোল, কাগজপুকুর, পুটখালি চরের মাঠ, ত্রি-মোহিনি, নারাণপুর, কাঠুরিয়া, উলাশি, সম্বন্ধকাঠি গ্রামসহ অর্ধশত মৌজায় তুলা চাষের জন্য উপযোগী। এজন্য শার্শার চাষিরা তুলা চাষে ঝুঁকে পড়েছে। মৌসুমি আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য চাষিরা তুলার সাথে সাথী ফসল হিসেবে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করে প্রতি বিঘা জমিতে অতিরিক্ত ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করছেন। এ বছর ২০ একর জমিতে সাথী ফসল চাষ হয়েছে।
মাটিপুকুর গ্রামের তুলা চাষি আবু তালেব, ও ত্রি-মোহিনি গ্রামের শরিফুল এ প্রতিনিধিকে জানান তুলা ৬ মাসের ফসল হলেও খুবই লাভজনক ফসল। এ অঞ্চলে কিছু উচু জমি আছে সেখানে তুলা চাষ ছাড়া অন্য আবাদ ভাল হয় না। এ জন্য তুলা চাষ লাভজনক ফসল হওয়ায় প্রতি বছরের ন্যায় আমরা তুলা চাষ করেছি। একই গ্রামের ফজলু রহমান ও বেনাপোলের আব্দুর রহমান বলেন, তুলার সাথে সাথী ফসল হিসেবে সবজি চাষ করলে তুলার কোন ক্ষতি হয় না বরং আমরা প্রতি বিঘায় অতিরিক্ত ১৫ থেকে ২০ হাজার আয় করে থাকি। গত বছর আমরা তুলার আশানুরূপ ফলন পেয়েছিলাম। প্রতি মণ তুলা ২২শ’ ৪০ টাকা দরে বিক্রি করি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমাদের দাবি চাষিদের ভাগ্য উন্নয়নের কথা ভেবে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সংগতি রেখে প্রতি মণ তুলার মূল্য ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করলে ভাল হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।