পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের অর্থনীতির প্রাণ চট্টগ্রাম বন্দরকে সচল রাখতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর আল্লাহর দেয়া বন্দর। বন্দরের নাব্যতা আল্লাহর দেয়া। নাব্যতা আছে বলেই এখানে জাহাজ আসছে। শৈশবকাল থেকে আমরা এ বন্দরকে দেখে আসছি। পর্তুগীজ আমল থেকে এ বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল (রোববার) বন্দর প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উপদেষ্টা কমিটির ১২তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, শামসুল হক চৌধুরী, দিদারুল আলম ও নজরুল ইসলাম চৌধুরী, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ, নৌ পরিবহন অধিদফরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, পুলিশ কমিশনার মোঃ ইকবাল বাহার।
বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, কাস্টমস কমিশনার মোঃ নুরুজ্জামান, বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার, শিপিং এসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী, সিঅ্যান্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোট এসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মোঃ জাফর আলম, কমডোর শাহীন রহমান (হারবার অ্যান্ড মেরিন), প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) নজমুল হক, পরিচালক (পরিবহন) গোলাম সরওয়ার, সচিব ওমর ফারুক প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর লাইফলাইন। বন্দরের উন্নতি সারাবিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে। ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর চট্টগ্রাম বন্দর ৫৮তম স্থানে ছিল। ২০১৭ সালে ২৭ ধাপ এগিয়ে ৭১তম স্থানে পৌঁছেছে। চট্টগ্রাম বন্দর পিছিয়ে নেই। এ মাসেই আমরা সার্টিফিকেট পাব। ঢাকায় অনুষ্ঠান করে আমরা এ আনন্দ উদযাপন করবো। তিনি বলেন, বন্দরে হ্যান্ডলিং বেড়েছে। এ বছর সাড়ে ২৫ লাখ টিইইউএস হ্যান্ডলিং হয়। আরও নতুন ইকুইপমেন্ট ক্রয় করা হচ্ছে। স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শীঘ্রই কর্ণফুলী নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজ শুরু হবে।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মহেশখালের আশেপাশের এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পানিবদ্ধতা হচ্ছে। তিনি বন্দরের অর্থায়নে মহেশখালের মুখে সুইচ গেইট নির্মাণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এর ফলে লাখ লাখ লোক পানিবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে। তিনি বলেন, ফিরিঙ্গিবাজার দিয়ে নগরীতে ট্রাক ঢোকার ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। মেয়র ফিরিঙ্গিবাজার হয়ে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত ট্রাক চলাচলের ব্যবস্থা করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
সংসদ সদস্য এম এ লতিফ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। বর্তমানে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। লালদিয়ায় মাল্টিপারপাস টার্মিনাল স্থাপন, বে-টার্মিনাল নির্মাণসহ চট্টগ্রাম বন্দরে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে।
নৌ পরিবহন সচিব আবদুস সামাদ বলেন, অর্থনীতির চালিকাশক্তি চট্টগ্রাম বন্দরকে কার্যকর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ২৪ ঘণ্টা বন্দর খোলা রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। হালিশহরে বে-টার্মিনাল হবে, লালদিয়ায় টার্মিনাল হবে। আমাদের চ্যালেঞ্জ বন্দরকে সর্বোচ্চ কার্যকর রাখা। ছয়টি গ্যান্টি ক্রেন নয়, আগামীতে ৫০টি গ্যান্টি ক্রেন সংগ্রহ করতে হবে। শীতলক্ষা পর্যন্ত নৌপথ সৃষ্টি করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নৌপথের খনন কাজ শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বন্দরের সক্ষমতা বাড়লেও বাড়েনি ডেলিভারী সিস্টেম। তিনি বলেন, যেখানে ৬০টি লাইটারেজ ঘাট দরকার সেখানে আছে মাত্র ১৩টি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল বলেন, আগামীতে মাতারবাড়িতে নতুন পোর্ট হবে। ছয়টি গ্যান্টি ক্রেন কেনার চুক্তি হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে বে-টার্মিনালের প্রথম পেইজের কাজ শেষ হবে। তিনি বলেন, জানুয়ারিতে সদরঘাটে নতুন লাইটারেজ জেটির উদ্বোধন হবে। এছাড়া আরও ৫-৬টি নতুন লাইটারেজ জেটি হবে। বর্তমানে জেটি সঙ্কট রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি লাইটারেজ জাহাজ রয়েছে। তিনি সীতাকুন্ড-মিরসরাইয়ে আরও আইসিটি নির্মাণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।