Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আরও নতুন তিন ব্যাংক!

হাসান সোহেল : | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ভয়াবহ দুরাবস্থার মধ্যে রয়েছে দেশের ব্যাংকিং খাত। নতুন থেকে পুরনো- সবগুলো ব্যাংকের অবস্থা শোচনীয়। এরপরও দেশের ব্যাংকিং খাতে খুব শিগগিরই যোগ হচ্ছে আরও তিনটি নতুন ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো- পিপলস ব্যাংক, বাংলা ব্যাংক এবং পুলিশ ব্যাংক। প্রস্তাবিত এই তিন ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এদের মধ্যে উদ্যোক্তাদের দেওয়া একটি ব্যাংকের নাম পরিবর্তন হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে। উদ্যোক্তারা পিপলস ইসলামী ব্যাংক নামে আবেদন করলেও পরে তারা ব্যাংকটির নাম থেকে ইসলামী শব্দটি বাদ দিয়েছে। ফলে এ ব্যাংকটি পিপলস ব্যাংক হিসেবে লাইসেন্স পেতে যাচ্ছে। তিনটি ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংক পেশাজীবীদের জন্য হলেও বাকি দুটির একটি হচ্ছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য বেঙ্গল গ্রæপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলমের আবেদন করা ‘বাংলা ব্যাংক’। অপরটি চট্রগ্রামে থাকা স›দ্বীপের ব্যবসায়ী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এমএ কাশেমের ‘পিপলস ব্যাংক’। তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
সূত্র জানিয়েছে, এ ব্যাংক দুটিকে লাইসেন্স দিতে অর্থমন্ত্রী নিজেই প্রধানমন্ত্রী ও গভর্নরের কাছে পৃথক চিঠি দিয়েছেন। এছাড়া পেশাজীবীদের ব্যাংকটি হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশের জন্য পুলিশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নির্ভরশীল সূত্র জানিয়েছে, নতুন ৩টি ব্যাংকের বিষয়টিও সরাসরি নাকচ করে তা অর্থমন্ত্রণালয়কে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কারণ দেশে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। এরপরও নতুন এই তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। সূত্র মতে, সেনাবাহিনীকে ট্রাস্ট ও বিজিবিকে সীমান্ত ব্যাংক দেয়ার পর এবার পুলিশকে ব্যাংক দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ বিমান ও নৌবাহিনী আলাদা ব্যাংক চাচ্ছে। কিন্তু সব বাহিনীর কল্যাণার্থে আলাদা না দিয়ে বড় আকারে একটি ব্যাংক দিলেই ভালো হতো, এমন মত সংশ্লিষ্টদের।
সূত্র মতে, দেশে বর্তমানে ৫৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংক চালু রয়েছে। তবে সরকার মনে করে, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আরও ব্যাংক প্রয়োজন। তাই বেশকিছু নতুন ব্যাংককে অনুমোদন দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। যদিও বর্তমান সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় চালু হওয়া ৯টি নতুন ব্যাংকের কার্যক্রম নাজুক থাকায় ইতোমধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে এই খাতে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক জরিপে দেখা যায়- ৯৫ শতাংশ ব্যাংকার মনে করেন, দেশে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নতুন কোনও ব্যাংকের প্রয়োজন নেই। আবার কেউ কেউ বলেছেন, বাংলাদেশে এমনিতেই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ব্যাংক আছে। তাই কয়েকটি ব্যাংক কমিয়ে দেওয়া উচিত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাংক খাতে অস্থিরতা দেখা দেয়ার পরও সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। এ কারণে ব্যাংক খাতে অচিরেই বড় ধরনের ধস নামতে পারে। বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে দেশের অর্থনীতিরও। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও রাজনৈতিক বিবেচনায় ৯টি ব্যাংককে লাইসেন্স দেওয়া হয়। সেগুলো ইতোমধ্যে মুদি দোকানে পরিণত হয়েছে! কারণ পরিচালক, তাদের বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা সব বিষয়েই হস্তক্ষেপ করে।’
শুধু সরকারের ইচ্ছাতেই অপ্রয়োজনে ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর আবু আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ব্যাংকগুলো গ্রাহকের আস্থা হারাচ্ছে। নতুন ব্যাংক না দেয়ার পক্ষে অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকররা বার বার পরামর্শ দিলেও তাতে কান দিচ্ছে না সরকার।’ তিনি বলেন, ‘যে হারে ব্যাংক হচ্ছে তাতে কয়দিন পর দেখা যাবে বীমার মতো যেখানে-সেখানে শুধু সাইনবোর্ড ঝুলছে। আর এ কারণে অচিরেই ধস নামতে পারে ব্যাংক খাতে। বড় ক্ষতি হতে পারে অর্থনীতিতেও।’
নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক আছে। তারপরও অনেক এলাকা ব্যাংকিং সেবার বাইরে আছে। এ কারণেই নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। অনেকগুলো ব্যাংক একীভূত (মার্জ) করার চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট কাটাতে সরকার কাজ করছে।’
তবে অর্থমন্ত্রীর এ বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. সালেহ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে নতুন ব্যাংককে লাইসেন্স দেওয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় বিদ্যমান ব্যাংকগুলো যথেষ্ট। এগুলোর কর্মক্ষমতা বাড়ানোর দিকেই বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।’ দেশে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল নেই বলে মন্তব্য এই অর্থনীতিবিদের। তার ভাষ্য, ‘এত ব্যাংকের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং করতে গিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’
একই অভিমত অর্থনীতিবিদ ও তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবি মির্জা আজিজুল ইসলামের। তিনি বলেছেন, ‘দেশে নতুন ব্যাংককে লাইসেন্স দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। নতুন ব্যাংকের কথা না ভেবে বিদ্যমান ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার কথা ভাবা উচিত।’
বিআইবিএম-এর প্রফেসর মো. ইয়াসিন আলী বলেন, ‘সবশেষ ৯টি ব্যাংককে অনুমোদন দেওয়ার দরকার ছিল না। এগুলো এখনও প্রতিযোগিতায় টিকতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে ও বলার মতো প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। তাই নতুন ব্যাংক চালুর কোনও যৌক্তিকতা নেই। তবে যেসব এলাকায় ব্যাংক নেই সেইসব স্থানে বিদ্যমান ব্যাংকের শাখা খোলা যেতে পারে।’
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকে ৮০টি নতুন ব্যাংকের আবেদন জমা পড়েছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা বর্তমান সরকারের সময়কালে লাইসেন্স পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
সূত্র মতে, ‘পিপলস ব্যাংক’ অনুমোদনে ২০১১ সালে ব্যাংকটির জন্য আবেদন করেছিলেন এমএ কাশেম। সে সময় আবেদন প্রক্রিয়ায় ছোটখাটো ক্রটি থাকায় বাদ পড়েছিল। তিনি এসব ত্রুটি দূর করে ব্যাংকটির নাম পরিবর্তন করে আবেদন করেছেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধু ভারতের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির শ্বশুর বাড়ি নড়াইলে। ২০১৩ সালে ভারতের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বাংলাদেশ সফরে এসে শ্বশুরালয়ে যান প্রণব মুখার্জি। এ সময় তিনি তার শ্বশুর বাড়িতে স্মৃতিস্বরূপ কিছু করার আকাঙ্খা প্রকাশ করেন। তার স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জি ২০১৫ সালের ১৯ আগস্ট মারা যান। পরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে নড়াইলে শুভ্রা মুখার্জির নামে একটি হাসপাতাল স্থাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়। জানা গেছে, প্রস্তাবিত বাংলা ব্যাংকের সিএসআরের অর্থ দিয়ে ওই হাসপাতাল চালানো হবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রাস্ট ব্যাংকের আদলে হচ্ছে পুলিশ ব্যাংক।
এর আগে ব্যাংক তিনটির অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রীর অনুমোদনের পর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক তা আমলে নিয়ে অনুমোদনের জন্য পরিচালনা পরিষদে পাঠায়। নতুন তিনটি ব্যাংক হলে দেশে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা ৫৭ থেকে বেড়ে হবে ৬০।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে বেশকিছু প্রক্রিয়া আছে। এর মধ্যে ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা চাওয়া হবে। একই সঙ্গে ব্যাংক পেতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কিছু শর্ত দেওয়া হবে। উদ্যোক্তারা শর্ত পরিপালন করে তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তা যাচাই-বাছাই করে পরিচালনা পরিসদের কাছে পুনরায় ‘টেবিল মেমো’ জমা দেবে। পরিচালনা পরিষদ পুনরায় অনুমোদন দিলে ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। বর্তমানে এসব প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা পড়া আবেদনের তালিকা অনুযায়ী, পৃথক ব্যাংকের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে বাংলাদেশ বিমান ও নৌবাহিনী। এছাড়া সরকারি চাকরিজীবীরা নিজেদের কল্যাণে ‘সমৃদ্ধি সোপান ব্যাংক’ থেকে লাভবান হতে চান। যদিও কোনও নির্দিষ্ট পেশার মানুষদের জন্য ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ার কোনও যুক্তি নেই বলে মন্তব্য এবি মির্জা আজিজুল ইসলামের। তার মতে, ‘এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ১৯টি ক্যাডারের চাকরিজীবীরা পৃথক ব্যাংকের অনুমোদন চাইবে। এটা এখনই বন্ধ করা উচিত।’
নির্দিষ্ট পেশাজীবীদের জন্য ব্যাংক দেওয়ার বিরোধীতা করেছেন বিআইবিএম-এর প্রফেসর মো. ইয়াসিন আলীও। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ও বিদ্যমান ব্যাংকের সংখ্যা বিবেচনায় বিভিন্ন পেশার জন্য আলাদা করে এখন নতুন ব্যাংককে অনুমোদন দেওয়ার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনাবাসী বাংলাদেশিদের কথা মাথায় রেখে তিনটি ব্যাংক চালু হয়েছিল। তাদের বিশ্বাস ছিল, এর মাধ্যমে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং কর্মসংস্থান ব্যাংকও এক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।’ এ ধরনের বিশেষায়িত ব্যাংক চালুর পরিবর্তে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন ইয়াসিন আলী। একইসঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সুপারভিশনও নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
নতুন ব্যাংকগুলোর টিকে থাকার সংগ্রাম
দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় অনেক বেশি ব্যাংক রয়েছে। এরপরও সরকারের চাপ থাকায় ২০১২ সালে ৯টি নতুন ব্যাংককে অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এগুলোর সব বিনিয়োগকারীই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কিত। ব্যাংক ৯টি হলো- মেঘনা ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, এনআরবি গেøাবাল ব্যাংক, সাউথ-বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, দ্য ফার্মার্স ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক।
নতুন চালু হওয়া ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম মূল্যায়ন করতে বিআইবিএম থেকে স¤প্রতি একটি জরিপ চালানো হয়। এতে দেখা গেছে, ৯টি ব্যাংকই গ্রাহকদের টাকা সংকটে রেখে বেপরোয়াভাবে স¤প্রসারিত হচ্ছে। এছাড়া গত দুই বছরে তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে খেলাপী ঋণের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
স¤প্রতি পরিচালনা পরিষদের সমস্যা থাকায় মেঘনা ব্যাংকের এমডি পদত্যাগ করেছেন। বিভিন্ন অনিয়মের কারণে পদত্যাগ করতে হয়েছে ফার্মার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যাকেও। এনআরবি কমার্সিয়াল ব্যাংকের এমডিকে বরখাস্ত করা হলেও হাইকোর্ট এ আদেশ স্থগিত করেছে। আর এসব কারণে ব্যাংকগুলোর মধ্যে অস্থিরতা চলছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, আগের ৯টি ব্যাংক অনুমোদনের সময়ও আমরা বলেছিলাম, নতুন ব্যাংক দিলে তারা পুরোনোগুলোর সাথে টিকতে না পেরে দুর্নীতির আশ্রয় নিবে এবং দুর্বল হয়ে পড়বে। এখন সেটাই প্রমাণ হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দেশে নতুন কোনো ব্যাংকের দরকার হলে বাংলাদেশ ব্যাংকই সরকারকে জানাবে। কিন্তু এখন উল্টো সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে নতুন ব্যাংকের জন্য সুপারিশ করছে। কেন এ রকম হচ্ছে তা বুঝে আসছে না।



 

Show all comments
  • রিফাত ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৩:২১ এএম says : 0
    ;দেশে যে কী হচ্ছে কিছুই বুঝতেছি না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যাংক

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ