বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কিচির-মিচির কলকাকলিতে মুখরিত ছিল পোষা পাখির মেলা। গতকাল (শনিবার) পাখির মেলার উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও পাখিপ্রেমীরা সকাল থেকেই পোষা পাখির মেলায় ভিড় জমায়। বিশেষ করে ছোট শিশুদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। তারা এসব পোষা পাখি দেখে আনন্দ-উচ্ছ¡াসে মেতে উঠে। পাখির মেলায় দর্শকরা এসে আনন্দচিত্তে ফিরে যায়। মেলায় বিভিন্ন প্রজাতির ৩শ’টি পোষা পাখি, ২৫০টি সৌখিন কবুতর, ২০টি রেসার কবুতর এবং ৩০টি হাই ফ্লাইয়ার কবুতরসহ মাছ ও পোল্ট্রি প্রদর্শিত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, অ্যাসোসিয়েশন অব এভিয়ান ভেটেরিনারিয়ান, চিটাগাং বার্ড ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন ও চট্টগ্রাম ফেন্সী পিজিয়ন ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মেলায় গ্রে-প্যারট, র‌্যাম্প, ক্রিমসন, ফিঞ্চ, কাকাতোয়া, ম্যাকাও, ভেলিট কুনোর, রুবিনো, রোজিলা, মিলি রোজেলাসহ ৩শ’ প্রজাতির পোষা পাখি এবং হাউজ পিজিওন, জেকোবিন, বোখারা, পোমারিয়ান পোটার, ফিন্ডব্যাক, আমেরিকান ফেনটেইল, সর্ট ফেইস, লং ফেইস, হোয়াইট টপ বোখারাসহ ২৫০ প্রজাতির পোষা কবুতর প্রদর্শনীতে স্থান পায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন পোষা প্রাণী পালন করে অনেকে বাণিজ্যিকভাবেও লাভবান হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, পরিবেশ বান্ধব হলে দেশে পাখির অভয়ারণ্য করা যাবে। ঢাকার অনেক স্থানে বিদেশি পাখির আনাগোনা আছে। মিরসরাইয়ের জলাশয়েও নানা বিদেশি পাখি চোখে পড়ে। এসব পাখিদের সংরক্ষণ করতে হবে। মন্ত্রী অনন্যা আবাসিক এলাকায় প্রাণী হাসপাতাল নির্মাণের জন্য সিভাসুর ভিসিকে আবেদন করলে জায়গা দেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। সিভাসুর ভিসি প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. একেএম সাইফুদ্দীন, প্রফেসর ডা. মোঃ রায়হান ফারুক, প্রফেসর ড. ভজন চন্দ্র দাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।