Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী হারুনের খুনিরা ধরা পড়েনি

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পণ্যপরিবহন বন্ধ রেখে প্রতিবাদ বিক্ষোভ
বন্দরনগরীর কদমতলীতে বিএনপি সমর্থিত পরিবহন ব্যবসায়ী মোঃ হারুনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। খুনের রহস্যেরও কোন কিনারা হয়নি।
এদিকে খুনের প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে গতকাল (সোমবার) সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করেছে নগরীর কদমতলী-শুভপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার ব্যবসায়ীরা। মালিক-শ্রমিকরা সব ধরনের পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখেন। ওই এলাকায় সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও দিনভর বন্ধ ছিলো। রোববার সন্ধ্যায় নগরীর সদরঘাট থানার মাদারবাড়ি শুভপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এস টি ট্রান্সপোর্টে হানা দিয়ে ব্যবসায়ী মোঃ হারুনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হারুন মরহুম বিএনপি নেতা দস্তগীর চৌধুরীর ভাই আলমগীর চৌধুরীর পুত্র। সদরঘাট থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন হারুন। এই হত্যাকান্ডের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দায়ী করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হিসাবে পরিবহন ব্যবসায় হারুন ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রভাব ছিল। সরকারি দলের নামে যারা ওই এলাকায় চাঁদাবাজি করতে চায় তারা তাতে সুবিধা করতে পারছিলো না। আর এতে ক্ষুদ্ধ হয়েই তাকে খুন করা হতে পারে। হারুনের পরিবারের দাবি, চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় খুন হতে হয়েছে হারুনকে।
সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্জিনা বলেন, আমরা সব বিষয় তদন্ত করে দেখছি। তবে এখনও কাউকে এই ঘটনায় আটক বা গ্রেফতার করা যায়নি। খুনিদের সম্পর্কেও স্পষ্ট কোন ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, নিহতের স্বজনরা লাশ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মামলা করতে কিছুটা দেরি হচ্ছে।
হারুনের খুনিদের গ্রেফতারে দাবিতে দিনভর এলাকায় দোকান-পাট বন্ধ রেখে মিছিল ও সমাবেশ করেন ব্যবসায়ীরা। আন্ত:জিলা ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সুফিউর রহমান টিপু বলেন, এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে পণ্যপরিবহন বন্ধ ছিলো। ব্রোকাররা বলেছেন তারা গাড়ি বুকিং দেবেন না। আমরা এটাতে মৌন সম্মতি দিয়েছি। যেহেতু একটা হত্যাকান্ড ঘটেছে, খুনিরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত তো আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে। অঘোষিতভাবে ধর্মঘট করেছেন ব্যবসায়ীরা।
অপরদিকে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান এক যুক্ত বিবৃতিতে হারুন হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতা কব্জায় রাখতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের হত্যার মিশনে নেমেছে। এর ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের কদমতলীতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সদরঘাট থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ হারুনকে গুলি করে হত্যা করেছে। তারা এ হত্যাকান্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ