পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছে নগর বিএনপি
নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হানা দিয়ে বিএনপি সমর্থিত এক পরিবহন ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। গতকাল (রোববার) সন্ধ্যায় নগরীর সদরঘাট থানার শুভপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোঃ হারুন (৩১) কদমতলী এলাকার বাসিন্দা আলমগীর চৌধুরী পুত্র। আলমগীর চৌধুরী সাবেক ডেপুটি মেয়র ও বিএনপি নেতা মরহুম দস্তগীর চৌধুরীর মেজ ভাই। হত্যাকান্ডের কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কিছু জানা যায়নি। তবে পুলিশের ধারণা, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
স্থানীয়রা জানান, নিহত মোঃ হারুন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ায় স্থানীয় তিন ওয়ার্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে এলাকায় আনন্দ মিছিল বের হয়। শুভপুর বাস স্টেশন এলাকায় আনন্দ শোভাযাত্রা চলাকালে এ গুলির ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মিছিলের পেছন থেকে গিয়ে কয়েকজন যুবক তাকে গুলি করে। তবে সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্জিনা জানান, মিছিল চলে যাওয়ার পর মূল সড়ক থেকে প্রায় ২০ গজ ভেতরে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ হন হারুন। অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা তাকে গুলি করে হেঁটে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ওসি জানান, এ খুনের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার এবং খুনের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিহত মোঃ হারুন পরিবহন ব্যবসায়ী। পাশাপাশি তার অন্য ব্যবসাও রয়েছে। হারুন মরহুম বিএনপি নেতা দস্তগীর চৌধুরীর ভাতিজা। তবে সে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত কিনা তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। ব্যবসায়িক বিরোধ, চাঁদাবাজি অথবা অন্য কোন কারণে খুনের ঘটনা ঘটতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কাউকে সন্দেহ করা হয়নি।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই জহির জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হারুনকে জরুরী বিভাগে আনা হলে তাকে দ্রুত অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। অপারেশন শুরুর আগেই সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে রাতে চমেক হাসপাতালে নিহত মোঃ হারুনের লাশ দেখতে গিয়ে নগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। স্থানীয় আওয়ামী ক্যাডারদের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে গুলি করা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে খুনীদের গ্রেফতার করা দাবী জানান। হাসপাতালে মর্গে নিহত হারুনের চাচী বিএমএ’র সাবেক নেত্রী ও মরহুম দস্তগীর চৌধুরীর সহধর্মিনী ডাঃ কামরুন নাহার দস্তগীর কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনিও অভিযোগ করেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।