পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামে গণপরিবহন ধর্মঘটে গতকাল (রোববার) চরম দুর্ভোগের মুখোমুখি হয় নগরবাসী। দুইদিন সরকারি ছুটির পর অফিস খোলার প্রথম দিনে রাস্তায় নেমে গাড়ি না পেয়ে অনেকে হেঁটেই অফিসে গেছেন। পরিবহন ধর্মঘটকে ঘিরে নগরীতে অন্য যানবাহন চলাচলে বাধাদানসহ নানা বিশৃঙ্খলার ঘটনাও ঘটে। পরিবহন ধর্মঘটের সুযোগে অটোরিকশা ও রিকশা চালকেরা আদায় করেছে অতিরিক্ত ভাড়া।
পুলিশের গাড়ি রিকুইজিশন, রুট পারমিটবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধসহ ১১ দফা দাবিতে পরিবহন মালিকদের এক পক্ষ ‘চট্টগ্রাম মেট্রো গণ-পরিবহন মালিক সংগ্রাম পরিষদ’ এ লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেয়। সকাল থেকে ধর্মঘট আহ্বানকারীদের কোন বাস-মিনিবাস রাস্তায় নামেনি। তবে সীমিত আকারে কোন কোন এলাকায় কিছু গণপরিবহন রাস্তায় নামলেও এ সংগঠনের কর্মীরা তাদের বাধা দেয়। নগরীর কয়েকটি এলাকায় দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর ফলে আতঙ্কে অন্য সংগঠনের বাস-মিনিবাসও তেমন রাস্তায় দেখা যায়নি। এতে বিপাকে পড়েছিল শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষেরা। সেগুলো আবার অতিরিক্ত ভাড়া নিয়েছে বলেও যাত্রীদের অভিযোগ।
সকালে অফিস শুরু এবং বিকেলে অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে কর্মজীবী মানুষের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। কয়েকটি রুটে কিছু টেম্পু চলাচল করলেও উঠানামা ভাড়া আদায় করা হয়েছে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা হারে। এ সুযোগে রিক্সা এবং অটোরিকশার ভাড়াও বাড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকগুণ। নগরীর প্রতিটি মোড়ে ছিল মানুষের ভিড়। গণপরিবহন না থাকায় অনেককে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। কেউ হেঁটে অথবা রিক্সা ও ভ্যানগাড়িতে চড়ে গন্তব্যে গেছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন নারীরা। নগরীর বেশিরভাগ স্কুলে চলছে বার্ষিক পরীক্ষা। পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা রাস্তায় নেমে বিপাকে পড়েন। অনেকে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারেননি।
ধর্মঘট আহ্বানকারী পরিষদের আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, পুলিশি হয়রানি, রুট পারমিটবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধসহ ১১ দফা দাবিতে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। পরিবহন মালিকদের সাতটি অংশ এ ধর্মঘটকে সমর্থন দিয়েছে দাবি করে বেলাল বলেন, লুসাই মোটরস ও লিটন মটরস নামে দু’টি সংগঠন রুট পারমিট না নিয়ে অবৈধভাবে রাস্তায় গাড়ি চলাচল পরিচালনা করছে। তারাই গতকাল রাস্তায় গাড়ি নামিয়েছে। তাদের ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে জেলা রুটের গাড়ি নগরীতে প্রবেশ করতে না দেওয়া, নগরীতে ইজিবাইক, টমটম চলাচাল নিষিদ্ধ, নগরীতে নির্দিষ্ট পার্কিং স্থান তৈরি না করা পর্যন্ত নো পার্কিং জরিমানা আদায় বন্ধ। দাবির মেনে নেয়ার ব্যাপারে কোন পক্ষ থেকে কেউ তাদের সাথে যোগাযোগ করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।