Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদকাসক্তদের হিংস্রতা

সাখাওয়াত হোসেন | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অপ্রতিরোধ্য মরণঘাতী নেশা মাদক এখন নানা অপরাধের প্রধান কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ভয়াল মাদকাসক্তি তারুণ্য, মেধা, বিবেক, লেখাপড়া, মনুষ্যত্ব সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে। বিনষ্ট করে দিচ্ছে স্নেহ, মায়া-মমতা, ভালোবাসা এমনকি পারিবারিক বন্ধন পর্যন্ত। ইয়াবায় আসক্ত সন্তানের হাতে অহরহ বাবা-মা এবং ঘনিষ্ঠ স্বজন নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছেন। নেশাগ্রস্ত বাবা মাদক সংগ্রহে ব্যর্থ হওয়ার ক্রোধে নিজ সন্তান বা স্ত্রীকে পর্যন্ত খুন করছেন অবলীলায়। নেশার টাকা না পেয়ে স্ত্রী অন্যের হাতে তুলে দেয়া, মাকে জবাই করা, আদরের সন্তানকে বিক্রি করে দেয়াসহ নানা অমানবিক ঘটনাও ঘটছে সমাজে। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রতিদিন মাদক উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেফতার করলেও প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না এসব ঘটনার। সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনকে দিন মাদকের বিস্তার যেমন ঘটছে, তেমনি নানা প্রকার অপরাধ সংঘটিতও হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ছেলেকে মা-বাবা পুলিশে দিয়েছেন, ইয়াবাসহ ধরা পড়েছে কারারক্ষী, বাসা থেকে মাদকাসক্ত ছেলের লাশ উদ্ধার, ইয়াবা সেবন করিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনাও ঘটছে দেশে। সমাজ ও মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকারের মাদকের সহজলভ্যতা কমিয়ে আনতে না পারলে এর আকার আরো ভয়াবহভাবে ধারন করবে। মাদক ব্যবসায় জড়িতদের গ্রেফতারের পাশাপাশি মাদকাসক্তদের এর কুফল সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। চিকিৎসা ও পুনবাসনের জন্য কাজ করতে হবে পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের সকলকে। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরাধীরা ক্রমে সহিংস হয়ে উঠছে ইয়াবার প্রভাবেই। এ বিষয়ে এখনই জোড় পদক্ষেপ গ্রহন করা না হলে ভবিষ্যতে জাতি মেধাশূন্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদকের ভয়াবহতা অনেক, এটা এখন একটা সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এখানই ঘুরে দাড়াতে হবে জনসাধারণকে। আমরা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বলেছি এ বিষয়ে যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের বলেন। আমরা ইমাম সাহেবদের বলেছি মসজিদে খুতবার সময় তারা যেন সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, মাদক প্রতিরোধে সাধারণ জনগণ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, অভিভাবক সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাবা-মাকে সচেতন হতে হবে। তা হলে ঐশীর মতো আর কোনো সন্তান বাবা-মাকে হত্যা করতে পারবে না। ঢাকা আহছানিয়া মিশনের মনোবিজ্ঞানী আমির হোসেন সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, মাদক নিয়ে পুরুষদের বিষয়গুলো আগে এলেও নারী ও শিশুদের মধ্যে এর যে ভয়াবহতা রয়েছে, তা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। মাদকাসক্ত নারীদের অর্ধেকের বেশি ইয়াবায় আসক্ত। মাদকাসক্ত হওয়ার কারণ হিসেবে কৌতুহল, বন্ধুদের চাপ, মানসিক বিষাদগ্রস্ততা, পারিবারিক কলহ, বাবা-মায়ের মাদকাসক্তি এবং মাদকের সহজলভ্যতাকে দায়ী করছেন আমির হোসেন। অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বিপিএম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, মাদকাসক্তদের বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সামাজিকভাবে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। শুধু মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করলেই মাদক নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয়, এ জন্য প্রয়োজন সকলের ঐক্যবন্ধ হওয়ার। সকলে মিলে সামাজিক প্রতিরোধ করতে পারলেই মাদক নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, খোদ রাজধানীতেই মাদকসেবী মেয়ের হাতে পুলিশ কর্মকর্তা বাবা ও মা খুনের ঘটনা নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় হয়। গত দশ বছরে মাদকাসক্ত ছেলেদের হাতে প্রায় আড়াই শতাধিক বাবা-মা নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। একই সময় মাদকসেবী স্বামীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় তিনশ নারীর। অপ্রতিরোধ্য ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক সেবন, কেনাবেচা ও পাচার ঘিরেও প্রতিনিয়ত সংঘাত-সংঘর্ষ, বন্দুকযুদ্ধ, চাঁদাবাজি, ঘুষ লেনদেনের মতো অসংখ্য অপরাধ অপকর্ম ঘটে চলছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে পাঠানো এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইদানীং মাদকাসক্তির কারণেই চাঁদাবাজি, ছিনতাই-রাহাজানি, ডাকাতি ও খুন-খারাবির ঘটনা বেশি ঘটছে। পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর মাঝেমধ্যে অভিযান চালালেও মুল মাদক ব্যবসায়ীরা অনেক সময় গ্রেফতার হয় না। যুবক-যুবতীর, কর্মজীবিদের বাইরে স্কুলপড়ুয়ারাও এখন ইয়াবায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। টিফিনের টাকা একত্র করে সহপাঠীরা মিলেমিশে ইয়াবা সেবন করছে। কি রাজধানী, কি শহর-বন্দর-গঞ্জ, হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় ইয়াবা। এখন উপজেলা পর্যায়েও একাধিক পয়েন্টে চলে মাদকের কেনাবেচা। সূত্র জানায়, গত ৭ অক্টোর কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার উত্তর রমনা এলাকায় মাদকাসক্ত ও বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ায় নিজ সন্তানকে পুলিশে দিয়েছে বাবা-মা। এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে রমনা মডেল ইউনিয়নের উত্তর রমনা এলাকার রাসেল মিয়া (২৫)। মাদকাসক্ত হয়ে প্রায়ই বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের মারধরসহ বাড়িঘর, আসবাবপত্র ভাংচুর করে রাসেল। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। পরে বাধ্য হয়ে বাবা বাদশা মিয়া ও মা ফাতেমা বেগম রাসেলের বিরুদ্ধে চিলমারী মডেল থানায় অভিযোগ করেন। এলাকাবাসীর সহযোগীতায় তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। রাসেলের বাবা-মা বলেন, কেউ কি সাধে ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ছেলে আমাদের মারার জন্য ছুরি নিয়ে আসে। বাড়িঘর ভাংচুর করে। তাই পুলিশের হাতে তুলে দিলাম। যদি আল্লাহর রহমতে ভালো হয়। সূত্র জানায়, গত আগষ্ট মাসে ফেসবুকে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন র‌্যাম্প মডেল রিসিলা বিনতে ওয়াজির। এর পর তিনি আত্মহত্যা করেন। রিসিলা নিয়মিত ইয়াবা সেবন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রিসিলার স্বামী ইমরুল হাসান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি মাদকাসক্ত ছিল। বাইরে গিয়ে নিয়মিত ইয়াবা সেবন করত। ঘরেও চেষ্টা করত। এ নিয়ে বাধা দিলে হেনস্থা করা হতো তাকে। এসব নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের ছালাভরা গ্রামে সকালে আবুল হোসেনের পুত্র মাদক ব্যবসায়ী সুলতান তার প্রতিবেশী হায়দার আলীর মেয়ে সুমি খাতুন (১৮) কে নিজ বসতবাড়িতে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। এলাকাবাসী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ী সুলতানকে মাদক বিক্রির বাধা দেয়ায় কারনে প্রতিবেশী সুমিকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ অক্টোবর বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় ইয়াবা সেবন করিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার আসামি তাপস শীলকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলা সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রী বাহাদুপুর গ্রামের তার মামা বাড়িতে থেকে বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছিল। অন্যান্য দিনের মতো ২৯ জুলাই রাতে দীপকের বাহাদুরপুর গ্রামের বাড়িতে তাপসের সঙ্গে ইয়াবা সেবন করতে আসে গৌরনদীর গোবর্ধণ গ্রামের কুদ্দুস ফকিরের ছেলে কাওসার ফকির ও একই থানার নন্দনপট্টি গ্রামের শফি মৃধার েছলে সেন্টু মৃধা। ওই রাতে দীপকের স্ত্রী েেমাবাইল েেফানে ওই স্কুলছাত্রীকে তার ঘরে ডেকে আনে। পরে ইয়াবা সেবন করিয়ে স্কুলছাত্রীকে বেসামাল করে ধর্ষণ করে কাওসার। একপর্যায়ে মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে দীপক, তার মা ও স্ত্রীকে ধরে পুলিশে দেয়। অন্যরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ৩০ জুলাই ওই স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা করে। রাজধানীর কদমতলী থানার এসআই লিটন মিয়া জানান, কদমতলীর মুজাহিদ নগরে সেলিম মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া সাহিদা বেগমের বাসা থেকে গত ৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টায় তার ছেলে ইমরান হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ইমরান হোসেন অসুস্থ ছিল। তাকে বাসায় রেখে তার মা সাহিদা বেগম জরুরি কাজে বাইরে যান। বিকেল ৫টার দিকে ফিরে এসে দেখেন ইমরান হোসেন অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তারা জানিয়েছেন, ইমরান মাদকাসক্ত ছিল। রাজধানীর বনানী থানার এসআই শেখ মিজানুর রহমান নিহতের মা মোমেনা বেগমের বরাত দিয়ে বলেন, তার ছেলে আবুল মোকারাম মো. আদিল (৩৩) মাদকাসক্ত ছিল। প্রায়ই নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে দুই-তিন দিন টানা ঘুমাতো। তাকে একাধিকবার মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু সে মাদক ছাড়েনি। গত ৭ অক্টোবর সকালের নাশতা খাওয়ার পর সে দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে। ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি তার। রাতে রুমের ভেতর থেকে গন্ধ বের হলে পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন আদিলের লাশ পড়ে আছে। এসআই শেখ মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে তাকে কেউ হত্যা করেছে মনে হয়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের সালথায় উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের নকুলহাটি গ্রামে গত ২১ নভেম্বর রাতে ওয়াহেদ মোল্যাকে (৭৫) গলা টিপে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে তার মাদকসক্ত ছেলে কালু মোল্যা (২৮)। ঘটনার দিন কালুর বৃদ্ধ বাবা শৌচাগারে যাওয়ার জন্য তিন-চারবার ঘরের দরজা খোলেন। এতে তার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। অতঃপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাবার গলা টিপে ধরেন। এক পর্যায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবা হত্যা করেন কালু। স্থানীয়রা জানান, ওয়াহেদ ভিক্ষা করতেন। তার ছেলে কালু মাদকাসক্ত ছিলেন। তিনি মাদক বিক্রিও করতেন। গতরাতে বাবা-ছেলে এক ঘরেই ছিলেন। গভীর রাতে গোঙানির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ওয়াহেদের ঘরে আসেন। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ অবস্থায় প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়। সালথা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, কালুকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। জানা গেছে, গত ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পিতাকে মারধরের অপরাধে আবদুল্লাহ আল মাহমুদ(৩৭) নামে মাদকাসক্ত পুত্রকে ছয় মাসের কারাদন্ডদিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তিনি হাটহাজারী পৌরসভাধীন আলীপুর গ্রামের মাষ্টার ইউনুছ বাড়ীর মাষ্টার মোহাম্মদ ইউনুছের পুত্র। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আক্তার উননেছা শিউলী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ রায় প্রদান করেন। মাদক সেবনের টাকার জন্য তার নিজ বোন রুমানা আক্তারকে মারধর করে। পিতা প্রতিবাদ করতে আসলে তাকেও সে পিটুনি দেয়। পরে পিতা এ বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তিনি পুলিশ নিয়ে মাহমুদকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। সেখানে সাক্ষ্য প্রমাণ ও আবদুল্লাহ আল মাহমুদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাদক

২২ অক্টোবর, ২০২২
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ