পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গত শুক্রবার মিসরের সিনাইয়ে রাওদা মসজিদে হামলা চালানো হয়। সেই মসজিদের সাথে সংশ্লিষ্ট এক সূফি নেতা মঙ্গলবার বলেছেন যে, জিহাদিরা ঐ মসজিদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনসহ সূফি তরিকা পালন না করার জন্য হুঁশিয়ার করে দিয়েছিল।
জারিরি শাখার উপ-প্রধান শেখ মোহাম্মদ আল জইশ বলেন যে, এক মাসেরও কম সময় আগে জিহাদিরা রাওদা মসজিদে এসেছিল। তখন তারা মসজিদের মুয়াজ্জিন ফেতি ইসমাইলের সাথে কথা বলে। তারা তাকে ২৯ ও ৩০ নভেম্বর মিলাদুন্নবী (সা.) উৎসব উদযাপন এবং সূফি প্রার্থনা চক্র অনুষ্ঠান পালন করতে নিষেধ করে। আইএস কট্টর সালাফি ধর্ম মতের অনুসারী। তারা সূফি মতের অনুসারীদের মুরতাদ বলে গণ্য করে। তিনি এএফপিকে বলেন, তারা মসজিদে প্রবেশ করেছিল। তারা ছিল অপরিচিত। আইএস এই সূফি গোষ্ঠির কিছু ধর্মীয় আচারকে ইসলামবিরোধী বলে মনে করে। এর আগে তারা এই সূফিপন্থীদের টার্গেট করে এবং তাদের একজন নেতাকে অপহরণ ও শিরñেদ করে। আইএস তাদের এক প্রচার পত্রিকায় আইএস সিনাইয়ের সূফিদের বিরুদ্ধে লড়াই করার শপথ ব্যক্ত করে। তারা ঐ মসজিদে জারিরি সূফি তরিকা পালন নিষিদ্ধ করে। কিন্তু এ হুঁশিয়ারি সত্তে¡ও আইএস আবার ফিরে আসবে এবং নৃশংস হত্যাকান্ড চালাবে তা কেউ ধারণা করেনি। এমনকি এ হত্যাকান্ড জিহাদি গ্রুপের সমর্থকদেরও বিরাট ধাক্কা দিয়েছে। আল-জইশ বলেন, মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনে তাদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে বলে মনে করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, উত্তর সিনাইয়ের রাওদা শহরের ঐ মসজিদে নামাজের সময় সন্দেহভাজন ইসলামিক স্টেট (আইএস) বন্দুকধারীরা বোমা ছুঁড়ে ও গুলি চালিয়ে ৩শ’রও বেশি লোককে হত্যা করে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি সূফি ধর্মাচরণই এ হামলার কারণ হয়ে থাকে তাহলে এটাই বোঝা যায় যে, সিনাই বিদ্রোহে আইএস তেমন সাফল্য লাভ করতে না পেরে বেসামরিক লোকদের তাদের লক্ষ্যবস্তু করছে। তাছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীকে সহায়তা করাও এ হামলার কারণ হতে পারে।
নিউ আরব জানায়, আইএস নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতা না করার জন্য গ্রামের লোকদের দিন কয়েক আগে সতর্ক করে দেয়। তিন সপ্তাহ আগে গ্রামবাসীরা তিনজন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে আটক ও তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়ার পর তারা এ হুঁশিয়ারি দেয়।
২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর আইএস সিনাইতে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে। এতে শত শত পুলিশ ও সৈন্যকে তারা হত্যা করেছে। এমনকি কর্তৃপক্ষকে সহায়তাকারী বেসামরিক লোকেরাও তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। মিসরের নিরাপত্তা বাহিনী উত্তর সিনাইতে আইএস জঙ্গিদের দমনে কঠোর অভিযান চালাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।