পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাবে প্রকাশিত প্রতিবেদনের জের ধরে রেয়াতি সুবিধায় অবৈধ গভীর নলকূপের বৈধতা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। সম্প্রতি দৈনিক ইনকিলাবে ‘চট্টগ্রামে অবৈধ গভীর নলকূপের ছড়াছড়ি কোটি কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত চট্টগ্রাম ওয়াসা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। চট্টগ্রাম ওয়াসার সেবা মাসকে ঘিরে নগরীতে গড়েউঠা এসব অবৈধ গভীর নলকূপ বৈধ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, যত্রতত্র লাইসেন্স ছাড়া স্থাপন করা গভীর নলকূপগুলোকে লাইসেন্সের আওতায় এনে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের রেয়াতি সুবিধা দেয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র লাইসেন্স ফি দিয়ে এসব নলকূপ বৈধ করা যাবে। লাইসেন্স নেয়ার পর তাদের কাছ থেকে অতীতের কোন ফি বা রাজস্ব চাওয়া হবে না। তিনি বলেন, গ্রাহকরা এতে ব্যাপকভাবে সাড়াও দিচ্ছেন।
চট্টগ্রাম ওয়াসার পক্ষ থেকে গ্রাহকদের কাছে মোবাইল ফোনে অবৈধ নলকূপ বৈধ করার সুযোগের কথা জানিয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়েছে। ওয়াসার কর্মকর্তারা জানান, এতে অনেকে সাড়া দিয়েছেন। গ্রাহকরা গভীর নলকূপের লাইসেন্স গ্রহণ করছেন। চট্টগ্রামে ব্যাপক হারে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হলেও বেশির ভাগেরই কোন অনুমোদন নেই। এতে করে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। অভিযোগ রয়েছে ওয়াসার পরিদর্শকসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে লাইসেন্সবিহীন এসব নলকূপ পরিচালনা করা হচ্ছে। মাঠ কর্মকর্তাদের অনেকে এই বাবত ঘুষ-বকশিস খেয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন। আর রাজস্ব হারাচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।
মহানগরীতে বাড়ির সংখ্যা ১ লাখ ৬৭ হাজার হলেও ওয়াসার গ্রাহক সংখ্যা আবাসিক-অনাবাসিক মিলিয়ে মাত্র ৬৭ হাজার। ফলে নগরীর বাসিন্দাদের বিরাট একটি অংশ এখনো ডিপ টিউবওয়েলের পানির উপর নির্ভরশীল। অথচ চট্টগ্রাম ওয়াসার খাতায় বৈধ বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডিপ টিউবওয়েলের সংখ্যা মাত্র ৩ হাজার ৮৮১টি। চট্টগ্রাম মহানগরীর হোল্ডিং সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ৬৭ হাজার। এর অর্ধেক ভবনেও যদি ডিপ টিউবওয়েল থাকে তাহলে এ সংখ্যা ৮০ হাজারের বেশি। ওয়াসা আবাসিক ও অনাবাসিক খাতে ৩ ধরনের মিলে ৬ ধরনের ডিপ টিউবওয়েলের লাইসেন্স দেয়। এসব লাইসেন্সের গড় ফি ৫৮ হাজার ৫৯৬ টাকা। এ হিসেবে নগরীতে অবৈধ ৮০ হাজার ডিপ টিউবওয়েল থাকলে ওয়াসা শুধুমাত্র লাইসেন্স খাতে সাড়ে ৪শ’ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ওয়াসার কর্মকর্তারা আশা করছেন, বৈধতা দেয়ার ফলে গভীর নলকূপ থেকে ওয়াসার রাজস্ব আয় বাড়বে। তবে এ সুযোগ যারা গ্রহণ করবে না পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অবৈধ গভীর নলকূপ বন্ধ করে দেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।