২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
উচ্চ রক্তচাপকে নীরব ঘাতক বলা হয়। নীরবে এটি শরীরের অনেক ক্ষতি করে। অনেক সময় কোন লক্ষণ ছাড়াই উচ্চ রক্তচাপ আমাদের শরীওে থাকতে পারে। হঠাৎ করেই একদিন জটিলতা শুরু হয়। তখন আর কিছু করার থাকেনা।
অনেক অসুখে লক্ষণ দেখেই রোগ ডায়াগনসিস করা যায়। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ এমন রোগ নয়। অনেক সময় রোগীর কোন উপসর্গই থাকেনা। দিনের পর দিন নিজের অজান্তে বয়ে নিয়ে বেড়ান এই মারাত্মক রোগ। হঠাৎ করেই হৃদরোগ বা ষ্টোকের মত জটিল কঠিন রোগ নিয়ে হাজির হন চিকিৎসকের কাছে। তখন অনেক দেরী হয়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ তাই নীরব ঘাতক। নীরবেই শরীরের ক্ষতি করতে থাকে।
কারো যদি ওজন বেশী হয়, উচ্চ রক্তচাপের পারিবারিক ইতিহাস থাকে, ধূমপান ও মদপানের অভ্যাস থাকে, ডায়াবেটিস ও রক্তে চর্বির আধিক্য থাকে তার অবশ্যই নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করতে হবে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় যতবারই চিকিৎকের কাছে যাওয়া হোক না কেন রক্তচাপ মাপতেই হবে।
বাসায় বা ফার্মেসিতে রক্তচাপ না মেপে অবশ্যই রেজিস্টার্ড ডাক্তারের কাছে যেয়ে রক্তচাপ পরিমাপ করতে হবে। কোন অবহেলাই এক্ষেত্রে কাম্য নয়।
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই স্বাস্থ্য বিষয়ে অসচেতন। চিকিৎসকের কাছে সহজে যেতে চাননা। এটা মোটেও ঠিক নয়। মাথাব্যথা, ঘাড়ব্যথা, ঘুম না হওয়া, বুক ধড়ফর করা, পা ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি সমস্যা হলে দ্রæত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ চিকিৎসক দিলে নিয়মিত খাওয়া উচিত। একটু অবহেলাই অনেক ক্ষতির কারণ হতে পারে। নিয়মিত ডাক্তারের চেকআপে থাকলে জটিলতা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ষ ডা. ফজলুল কবীর পাভেল
রাজশাহী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।