Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নাব্য সঙ্কটে রাজধানীর সাথে দক্ষিণাঞ্চলের নৌ যোগাযোগ ঝুঁকিপূর্ণ

নাছিম উল আলম : | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শুষ্ক মওসুম শুরুর আগেই নাব্য সঙ্কটে রাজধানীর সাথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নৌ যোগাযোগ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই ঢাকা-চাঁদপুর-বরিশাল নৌ পথের চাঁদপুর-বরিশাল অংশের মেঘনা আববাহিকার কয়েকটি এলাকায় ভাটার সময় বিপুল সংখ্যক নৌযান আটকা পড়ছে। বেশীরভাগ যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযানগুলোই ভড়া জোয়ারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছে মাঝ নদীতে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বরিশাল নদী বন্দরেও নাব্য উন্নয়নে পলি অপসারণ কাজ চলছে যথেষ্ঠ ঢিমেতালে। কতৃপক্ষ অবশ্য আগামী দশ দিনের মধ্যে বন্দরটির নব্যতা উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন করে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার কথা জানিয়েছেন। এজন্য বিআইডবিøউটিএ’র একটি নিজস্ব ড্রেজার বরিশাল নদী বন্দরে মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী দশ দিনের মধ্যে বন্দরে নাব্য সঙ্কটের সমাধান মিলবে বলেও দাবি করেছেন কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে বরিশাল-ঢাকা নৌপথের মিয়ারচর, নলবুনিয়া ও ভাষানচরের কাছে বিভিন্ন নদ-নদীতে ডুবো চড়ায় রাজধানীর সাথে দক্ষিণাঞ্চলের নৌ যোগাযোগ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিআইডবিøউটিএ মিয়ার চরের কাছে নৌপথ উন্নয়নে ড্রেজিং শুরু করলেও পরিস্থিত উন্নয়নে আরো সময়ে লাগবে বলে মনে করছে দায়িত্বশীল মহল। বর্তমানে মিয়ারচরের কাছে ভাটার সময় মাত্র পৌনে এক মিটার থেকে আড়াই মিটার পর্যন্ত নাব্য ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে। এখানে ৩টি ড্রেজার পলি অপসারণ করছে। তবে দিন দশেকের মধ্যেই পরিস্থিতির ব্যপক ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে বলে কতৃপক্ষের দাবি।
প্রায় একই পরিস্থিতি বরিশাল-চাঁদপুর নৌ পথের নলবুনিয়া ও ভাষানচরের কাছেও। এসব নৌপথেও ২ মিটার থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত নাব্য বজায় রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রাজধানীর ৩ শতাধিক ফুটের যেসব যাত্রীবাহী নৌযান চলছে, সেগুলোর গভীরতা ৩ মিটার থেকে সোয়া ৩ মিটার পর্যন্ত। ফলে ভাটার সময় এসব নৌযানগুলো মিয়ারচর নালা অতিক্রম করতে পারছে না। প্রতি রাতেই ঐ এলাকা অতিক্রমকারী নৌযানগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা শত শত যাত্রী নিয়ে মিয়াচরের কাছে নোঙরে থাকছে। বরিশাল ও ঢাকা সহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌছতে নৌযনগুলোর ২-৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্ব ঘটছে। ফলে যাত্রীদেরও চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
এসব বিষয়ে বিআইডবিøউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগ সহ নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের বরিশাল অঞ্চলের দায়িত্বশীল মহলে আলাপ করা হলে নাব্য সংকট নিয়ে কর্তৃপক্ষের বিশেষ মনযোগের কথা জানান তারা। বর্তমানে মিয়ার চরে ৩টি ও বরিশাল বন্দরে একটি ড্রেজার নাব্য উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। চলতি মাসের মধ্যেই পরিস্থিতির ব্যপক ইতিবাচক উন্নয়নের কথাও জানান তারা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দক্ষিণাঞ্চল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ