পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া বলেছেন, ভারতের সাথে নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অব কন্ট্রোল)সহ পূর্ব সীমান্তে যেকোনো হুমকি মোকাবেলা করতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর)’র এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। সেনাপ্রধান বলেন, আমাদের পূর্ব সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ রেখাসহ আশেপাশের অঞ্চলে যেকোনো হুমকি বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক জবাব দিতে আমাদের প্রস্তুতি কোনভাবেই শিথিল হবে না। সীমান্তে ভারতীয় সহিংসতার প্রেক্ষাপটে সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি ও পরিস্থিতি সম্পর্কে গত শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর সদর দফতরে ব্রিফিংকালে সেনাপ্রধান এই মন্তব্য করেন। ভারতীয় পক্ষ থেকে স¤প্রতি বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের প্রেক্ষাপটে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। ভারতীয় বাহিনী চিরিকোট ও নেজাপির অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ১৬ নভেম্বর দুজন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা ও দুই নারীসহ আরো পাঁচজনকে আহত করে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের হিসাব অনুযায়ী শুধুমাত্র এ বছরেই নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত ১,৩০০ বারের বেশি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এতে কমপক্ষে ৫২ বেসামরিক লোক নিহত ও ১৭০ জন আহত হয়েছে। গত সপ্তাহে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসী নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তার জন্য কমিউনিটি সুরক্ষা বাংকার তৈরি জন্য অর্থ বরাদ্দ করেন। অপর দিকে পাকিস্তান নৌবাহিনীর বিমান শাখায় চার-ইঞ্জিন বিশিষ্ট টার্বোপ্রব সাবমেরিন বিধ্বংসী ও সামুদ্রিক নজরদারি বিমান ‘লকহিড পি-৩ অরিয়ন’-এর উপস্থিতি প্রতিবেশী ভারতের নৌবাহিনীকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছে। স¤প্রতি ভারতীয় নৌবাহিনী ভারত মহাসাগরে জাপানের সঙ্গে সাবমেরিন বিধ্বংসী যুদ্ধের মহড়া চালায়। পাকিস্তানের প্রধান সাবমেরিন বিধ্বংসী বিমানের ক্ষমতা যাচাই করার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনী ওই মহড়া চালায় বলে স¤প্রতি দেশটির প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি’র এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের জন্য এই যুদ্ধমহড়া ছিলো বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এই মহড়া নৌবহিনীকে পি-৩ বিমানের কার্যকারিতা মূল্যায়নের সুযোগ করে দেয়। পাকিস্তান নৌবাহিনী তার প্রাইমারি এন্টি-সাবমেরিন প্লাটফর্ম হিসেবে বহু দশক ধরে পি-৩ এয়ারক্রাফট ব্যবহার করছে। ভারতীয় নৌবাহিনী জানায়, জাপানের সঙ্গে যুদ্ধ মহড়া তাদের জন্য পি-৩সি বিমানের কার্যকারিতা পরীক্ষায় সহায়ক হবে, যা পাকিস্তানও ব্যবহার করছে। পাকিস্তান নৌবাহিনীর বিমান শাখায় ১৯৯৬ সালে প্রথম পি-৩সি বিমান যুক্ত করা হয়। দূরপাল্লার এই সামুদ্রিক টহল বিমান (এলআরএমপিএ) যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে লাভ করে দেশটি। উন্নত সেন্সর ও অস্ত্র সজ্জিত পি-৩সি বিমান আরব সাগরে বিচরণকারী ভারতীয় নৌ বাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়। ডন, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।