Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পটিয়ায় হাত বাড়ালেই ইয়াবা

| প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : টেকনাফের পরে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের স্বর্গরাজ্য এখন পটিয়া। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের চট্টগ্রাম জেলার তিন-চারটি জোনের মধ্যে পটিয়া হচ্ছে এখন প্রধান জোন। দীর্ঘদিন ধরে মন্ত্রী-এমপিসহ প্রশাসনের উচ্চপর্যায় থেকে পটিয়া ইয়াবা জোন হিসেবে চিহ্নিত করে আসলেও স্থানীয় প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের কার্যক্রম রহস্য জনক। সম্প্রতি চট্টগ্রামের বরিশাল কলোনিতে র‌্যাবের হাতে বন্ধুকযুদ্ধে ইয়াবা সম্রাট ফারুক নিহত হয়। তার বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের নন্দেরখীল গ্রামে।
সূত্রে জানায়, ইয়াবার বিশাল চালান তার হাতে থাকায় পটিয়ার অনেক লোকজন ফারুক থেকে ইয়াবার পাইকারি ক্রয় করার সুযোগ পায়। পটিয়ায় এ ধরনের প্রায় অর্ধশতাধিক পাইকারি ব্যবসায়ী রয়েছে। এদের মধ্যে ধলঘাটের উত্তর সমুরা গ্রামের জহির মল্ল, কচুয়াই এলাকার কালু, হাবিলাস দ্বীপের কানা কামালসহ কয়েকজনের নাম থানায় তালিকাভুক্ত। গত এক বছরে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে বর্তমানে পটিয়ার আনাচেকানাচে ও পাড়া-মহল্লায় হাত বাড়ালে ইয়াবা পাওয়া যায়। মাঝেমধ্যে পটিয়া থানা পুলিশ খুচরা ব্যবসায়ীদের ধরে আইনগত ব্যবস্থা নিলেও পাইকারি ব্যবসায়ীরা অধরা রয়ে গেছে। পুলিশ কিছু কিছু ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ধরলেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর পটিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কার্যক্রম সাফল্যজনক নয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বর্তমান পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমদের বাড়ি পটিয়া পৌরসদরে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর পটিয়া উপজেলা পরিষদে মাদকবিরোধী সমাবেশের বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহাপরিচালক পটিয়ায় ইয়াবা ব্যবসা বৃদ্ধি পাওয়া ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ীদের দমনে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দেন। চলতি সালের ফেব্রæয়ারি মাসে পটিয়ায় এক জনসভায় বক্তব্য দেয়া কালে সেতু ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পটিয়ায় ইয়াবা তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি আরোপ করেন।
চলতি বছর দুই দফা আইনশৃঙ্খলার সভায় পটিয়ার এমপি সামশুল হক চৌধুরী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে তাগিদ দেন। এত নির্দেশনা থাকার পরও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আশানুরূপ ব্যবস্থা নিতে পারেনি। পটিয়ায় শতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী হঠাৎ যেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। যার একেবারে কিছুই ছিল না, তারা এখন বাড়ি-গাড়ির মালিক। এ ব্যবসায় পৌরসভা ও উপজেলার কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জড়িত রয়েছেন বলে সূত্র জানায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইয়াবা


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ