পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বোয়ালখালীতে নিখোঁজ শিশুর লাশ রান্নাঘরে
ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে তিন বছরের শিশুকে অপহরণ করে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবির পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে এক যুবক। টানা ১৫ ঘণ্টার অভিযানে শিশু মোঃ জুবায়েদকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণকারী মোহাম্মদ রফিক (২৬) শিশুটির ফুফা। গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে সে স্বীকার করে বিভিন্ন সংস্থা থেকে নেয়া ঋণের কিস্তির টাকা জোগাতে স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ছেলেকে অপহরণ করে সে। পুলিশ জানায়, নগরীর হালিশহর থানাধীন এক্সেস রোডস্থ গুলবাগ ওয়ালটন গলি থেকে শনিবার বিকেলে মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ছেলে জুবায়েদ অপহৃত হয়। অপহরণের পর আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টায় অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন করে শিশুটির মায়ের মোবাইলে মুক্তিপণ দাবী করে। মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে টানা দীর্ঘ ১৫ ঘন্টা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ ও হালিশহর থানা পুলিশ চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ, মহানগরীর পাঁচলাইশ ও চান্দগাঁও থানা এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে অপহৃত শিশু জুবায়েদকে নগরীর বহদ্দারহাট এলাকার বদি আলম গলি থেকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় অপহরণকারী মোহাম্মদ রফিককে।
রফিক চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী গ্রামের মৃত নুরুল আলমের পুত্র। গতকাল বিকেলে তাকে সিএমপি সদর দপ্তরে হাজির করা হয়। সেখানে সে সাংবাদিকদের জানায়, পাড়ার কিছু ঋণদান সংস্থার কাছ থেকে ঋণ করে সে। কিন্তু সে টাকা শোধ করতে না পেরে স্ত্রীর ভাইয়ের ছেলেকে অপহরণের পরিকল্পনা করে সে। জুবায়েদকে বাসা থেকে তুলে রফিক তার খালার বাসা রাখে। খালাকে জানায়, শিশুটির মা হাসপাতালে আছে তাকে এখানে রাখতে হবে। জুবায়েদকে অপহরণ করার পর তাদের হালিশহরের বাসা এলাকায় গিয়ে তার সন্ধানে মাইকিংও করে সে। অপহৃত জুবায়েদের পিতা থানায় ডায়েরি করতে গেলে ধরা পড়ার ভয়ে রফিক বাসা থেকে পালিয়ে যায় এবং নিজের মোবাইল বন্ধ করে দেয়। এরপর সে অপরিচিত মোবাইল থেকে ফোন করে কন্ঠ নকল করে মুক্তিপণ দাবী করে এবং টাকা না দিলে শিশুটিকে হত্যা করার হুমকি দেয়। তার বিরুদ্ধে হালিশহর থানায় মামলা হয়েছে।
রান্নাঘরে নিখোঁজ শিশুর লাশ
এদিকে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে নিখোঁজের দুইদিন পর নিজ বাড়ির রান্নাঘরে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ পাওয়া গেছে। নিহত আইমান হক কায়েপ (৫) বোয়ালখালী পৌরসভার পূর্ব গোমদন্ডী দরপপাড়ার বদরুচ মেহের চেয়ারম্যান বাড়ির এজাহারুল হকের ছেলে। শনিবার বিকালে পূর্ব গোমদন্ডী দরপপাড়ায় বাড়ির রান্না ঘরে তার লাশ পাওয়া যায় বলে জানান বোয়ালখালী থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে আইমান নিখোঁজ ছিল। সন্ধান চেয়ে শুক্রবার তার চাচাত ভাই বোয়ালখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। দুপুরে বাড়ির রান্নাঘরে ঘরের লোকজন লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এসআই দেলোয়ার জানান, আইমানের শরীর কালো হয়ে গেছে; কিছু কিছু জায়গা ফোলা ছিল। এছাড়া তার জিহ্বা বের হয়ে ছিল এবং মুখে রক্ত বের হওয়া ছিল। তাকে খুন করে সেখানে লাশ ফেলে দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।